North Dinajpur Drowning: তলিয়ে যাচ্ছিল বোন, ভাইকে কোলে নিয়ে বাঁচাতে গিয়েছিল দিদি, সলিল সমাধি ৩ শিশু
North Dinajpur Drowning: গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে তাদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে করনদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ময়নাতদন্ত না করে মৃতদেহ ৩টি নিয়ে বাড়িতেই চলে যান পরিজনেরা।
উত্তর দিনাজপুর: একসঙ্গে স্নান করতে নেমেছিল তিন ভাইবোন। চোখের সামনেই বোনকে নদীতে তলিয়ে যেতে দেখছিল দিদি। ভাই ছিল কোলে। তাকে নিয়েই বোনকে বাঁচাতে গিয়েছিল। তলিয়ে গেল একসঙ্গে তিন জনই। অগভীর সুধানী নদীর গভীর গর্তে ডুবে মৃত্যু হল একই পরিবারের ৩ শিশুর। উত্তর দিনাজপুরের করনদিঘি থানার দোমহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম চৌনাগারা এলাকায় চাঞ্চল্য। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রোজিনা খাতুন ( ৯), তাসিনা খাতুন (৭) এবং মহম্মদ রিজুয়ানু (৪)। তাঁদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের করনদিঘি থানার দোমহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম চৌনাগারা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে খানিক দূরে সুধানী নদীতে স্নান করতে যায় ৪ শিশু। তাদের মধ্যে ৩ জন ভাই বোন। জানা যাচ্ছে, মেজো বোন নদীর হাটু জলে নেমে স্নান করছিল। আচমকাই গভীর জলে তলিয়ে যায়। কোলে ছোট ভাইকে নিয়েই বড় বোন তাকে বাঁচাতে যায়, তখন তিন জনই তলিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে তাদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে করনদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ময়নাতদন্ত না করে মৃতদেহ ৩টি নিয়ে বাড়িতেই চলে যান পরিজনেরা।
অগভীর সুধানী নদীতে এই মরশুমে হাটুজল থাকার কথা, সেখানে কীভাবে আচমকা গভীর জলে ডুবে গেল ওই ৩ শিশু? এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, অবৈধভাবে ওই নদী থেকে লাগাতার বালি তোলার কারবার চালাচ্ছে বালি মাফিয়ারা। যে কারণে অগভীর নদীর যেখানে সেখানে বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আর সে কারণেই এই মৃত্যুর ঘটনা বলে স্থানীয়দের দাবি। নদীর পাড়ে গাড়ির টায়ারের ছাপ আছে এখনও। এমনকি নদীর বুক থেকে সদ্য তোলা বালি এখনও পাড়ে মজুত করে রাখা হয়েছে।
তবে এনিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। এমনকি মৃতদের পরিবারের লোকেরাও এনিয়ে কিছু বলতে নারাজ। মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে কার্যত ভয়ে কাঁপছে গোটা গ্রাম।
এদিন দুপুরে মৃতদের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। যদিও প্রশাসনিক কোনও কর্তারা এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।