উত্তর দিনাজপুর: চোপড়াকাণ্ডে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। চোপড়ায় শুক্রবার শুভেন্দু দাবি করেন, মুখ্য সচিবকে তিনি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কোচবিহার ও চোপড়াকাণ্ডের তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তর করা হোক। এদিন শুভেন্দু বলেন, “চোপড়ায় খাপ পঞ্চায়েত বসছে। বাঙালি হিসাবে মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। আমরা আজকে বিধায়করা এখানে এসেছিলাম। হঠাৎ এসেছি। না হলে আইসি পালিয়ে যেতেন।”
চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এদিন সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, হামিদুল এখানে সমান্তরাল প্রশাসন চালান। রাজ্যপালের আসার আগের দিন বিডিও এবং ওসি হামিদুলের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
শুভেন্দু জানান, এর আগে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও হামিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আজ চিফ সেক্রেটারিকে লিখেছি, রাজ্য সরকার কোচবিহার ও চোপড়ার ঘটনা সিবিআই তদন্তের জন্য হ্যান্ডওভার করুক। পুলিশ এর সঙ্গে যুক্ত। পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” তিনি বলেন, এই মামলা সিবিআইকে না দেওয়া হলে, তাঁরা আইনি পথে হাঁটবেন। শুভেন্দু বলেন, এখানে সংবিধান শেষ কথা বলবে, হামিদুলরা নন।
প্রসঙ্গত, চোপড়ায় এক তরুণ ও তরুণীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে এলাকার এক ‘দাদা’ তাজেমুল ওরফে জেসিবির বিরুদ্ধে। ভয়াবহ সেই ভিডিয়ো সামনে আনেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ভিডিয়োটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট হতেই নিন্দায় সরব হয় গোটা রাজ্য। গ্রেফতার হন জেসিবি। আর এই ঘটনায় এলাকার বিধায়কও নিন্দা করেন বটে, তবে একইসঙ্গে মেয়েটির চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। দাবি করেন, মেয়েটির স্বামী সন্তান থাকার পরও পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে গিয়েছিলেন।