করোনাকালে রমরমা চোরের! রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও অক্সিজেনের ফ্লো মিটারও

রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ তলা সুপার স্পেশালিটি ভবন রয়েছে। তারই চতুর্থ তলার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডটি কোভিড (COVID-19) ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

করোনাকালে রমরমা চোরের! রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও অক্সিজেনের ফ্লো মিটারও
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2021 | 7:29 PM

উত্তর দিনাজপুর: কোভিড (COVID-19) ওয়ার্ডে চুরি। তাও আবার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নিরাপত্তার চরম দৈন্যদশার চিত্র প্রকট হল রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে। ওয়ার্ডে ঢুকে অক্সিজেনের ফ্লো মিটার চুরি করে নিয়ে গিয়েছে ‘চোর’। এ ছাড়াও ওয়ার্ডের বাইরে কলের মাথা, বেসিনও কোনওটা ভাঙা, কোনওটা আবার বেমালুম উধাও। এই ঘটনা নতুন নয় বলেই অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের। হাসপাতালের ভিতর পুলিশ ফাঁড়ির দাবি তুলেছেন তাঁরা।

রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ তলা সুপার স্পেশালিটি ভবন রয়েছে। তারই চতুর্থ তলার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডটি কোভিড ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও এখন সেখানে রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কম। প্রায় ফাঁকা ফাঁকাই বলা যায়।

অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ওয়ার্ডে ঢুকে দেদার ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। ওয়ার্ডে ৯০টির মতো অক্সিজেনের ফ্লো মিটার ছিল। এর মধ্যে বেশ কিছু উধাও। যে গুলি পড়ে রয়েছে, সে গুলি ভাঙা। সেইসঙ্গে জলের কল, বেসিন ও চিকিৎসার অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়েছে। চুরিও গিয়েছে বেশ কিছু জিনিস। এদিকে অভিযোগ, শুধু এই কোভিড ওয়ার্ডে চুরিই নয়, আরও বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: ‘টাকা যা লাগবে দিব, নম্বর বাড়াতেই হবে’, নবমের রেজাল্ট নিয়ে প্রধান শিক্ষককে চাপ পড়ুয়া-অভিভাবকদের

এখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, একটি পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি করা হোক। হাসপাতালের তৃণমূল সমর্থিত স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত মল্লিক বলেন, “এর আগেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা এতে আতঙ্কিত। আমরা চাইছি দ্রুত এখানে পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি হোক।” রায়গঞ্জ হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, “বিষয়টি নজরে আসতেই রায়গঞ্জ থানায় জানানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একজনকে পুলিশ আটকও করেছে। তদন্ত চলছে।”