Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘টাকা যা লাগবে দিব, নম্বর বাড়াতেই হবে’, নবমের রেজাল্ট নিয়ে প্রধান শিক্ষককে চাপ পড়ুয়া-অভিভাবকদের

কোভিডের (COVOD-19) কারণে যেহেতু এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না, তাই তার ফলাফলের মূল্যায়নে এই নম্বরের গুরুত্ব অনেকখানিই।

'টাকা যা লাগবে দিব, নম্বর বাড়াতেই হবে', নবমের রেজাল্ট নিয়ে প্রধান শিক্ষককে চাপ পড়ুয়া-অভিভাবকদের
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2021 | 5:06 PM

কোচবিহার: টাকার কথা ভাবতে হবে না। নম্বরটা শুধু বাড়িয়ে দিন। যা লাগবে দেওয়া হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এভাবেই চাপ দিচ্ছে স্কুলের পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা। নজিরবিহীন এই ছবি ধরা পড়ল কোচবিহারের মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুলে। এ বছর মাধ্যমিকের মূল্যায়নে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকছে নবম শ্রেণির নম্বরের। সেই নম্বর বাড়াতেই প্রধান শিক্ষককে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলে।

মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুলে পরিচালন কমিটির তরফে কৃষ্ণেন্দু আইচের অভিযোগ, এমন একাধিক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রয়েছে, যারা নবমের বার্ষিক পরীক্ষা দেয়নি কিংবা পরীক্ষায় খুবই খারাপ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিকের রেজাল্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে নবমের নম্বরের। সেই নম্বর বাড়ানোর দাবিতেই পড়ুয়ারা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে চাপ দিচ্ছে। শুধু পড়ুয়ারাই নয়, তাদের মা-বাবারাও তাতে শামিল হয়েছেন। কারও দাবি নম্বর বাড়ানোর। কেউ আবার বলছে পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখানো চলবে না।

সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায়, মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে রীতিমত স্লোগান শাউটিং করছে স্কুলের পড়ুয়ারা, ”আমাদের দাবি মানতে হবে।” ঘরের ভিতর ততক্ষণে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন তাদের মা-বাবা। প্রধান শিক্ষককে রীতিমত অপ্রস্তুতে ফেলে পা ধরে টানাটানি চলছে। কয়েকজন অভিভাবক আবার বলছেন, “বলেন কী চান, টাকা চান? বলুক না কত টাকা লাগে, আমরা দিব। এত টাকা খরচ হয়, এটুকু  দিতে পারব না।”

আরও পড়ুন: ‘দ্রুত কোভ্যাক্সিনের স্বীকৃতি আনার ব্যবস্থা করুন’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার

নবমের নম্বর, ভাইভার নম্বর স্কুলের উপরই নির্ভর করে। কোভিডের কারণে যেহেতু এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না, তাই তার ফলাফলের মূল্যায়নে এই নম্বরের গুরুত্ব অনেকখানিই। প্রথম থেকেই একাধিক স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষক সংগঠনগুলি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, এ ধরনের ঘটনায় স্কুলের উপর বাড়তি চাপ এসে পড়বে। এবার সে আশঙ্কাই সত্যি হল।