Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দ্রুত কোভ্যাক্সিনের স্বীকৃতি আনার ব্যবস্থা করুন’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার

কোভিশিল্ড 'হু' (WHO)-এর অনুমোদন পেলেও, এখনও স্বীকৃতি পায়নি কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। সমস্যায় পড়ছেন অনেক ছাত্রছাত্রীই।

'দ্রুত কোভ্যাক্সিনের স্বীকৃতি আনার ব্যবস্থা করুন', প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
অলংকরন: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2021 | 4:49 PM

কলকাতা: ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে মোদীকে মমতার চিঠি নতুন নয়। এর আগে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়ে একাধিকবার চিঠি লিখেছিলেন তিনি। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বিনামূল্যে রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সেই নয়া নীতি চালুও করেছে। তবে এ বার মমতার দাবি কোভ্যাক্সিন নিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকায় অনেক ছাত্রছাত্রীই ইএ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সমস্যায় পড়ছেন। তাই দ্রুত যাতে স্বীকৃত পাওয়ার উদ্যোগী হয় মোদী সরকার, সেই আর্জি জানিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা।

চিঠি দেওয়ার কথা গতকালই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বৃহস্পতবার সেই চিঠি পাঠানো হল প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি জানিয়েছেন চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, অনেক বেসরকারি হাসপাতাল বা টিকা কেন্দ্র থেকেও কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোভ্যাক্সিনে এখন স্বীকরতি দেয়নি ‘হু’। অনেক দেশই ‘হু’ -এর স্বীকৃতি বিহীন টিকাপ্রাপ্তদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না। দেশের অনেক ছাত্রছাত্রীই বিদেশে পড়াশোনা করতে যায়। তাদের অনেকেও কোভ্যাক্সিন নিয়েছে। ওই সব দেশে তাদের ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেটের কোনও মূল্যই নেই।

মুখ্যমন্ত্রী দাবি, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ২ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে ৩ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি। যদিও যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসছে তাতে জুলাই মাসের মধ্যেই আরও ৭০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে ফের নিশানা করেছেন মমতা।

আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে ‘গায়েব’ প্রায় ৫৫ হাজার ডোজ় ভ্যাকসিন, জানেই না স্বাস্থ্য দফতর

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই স্বদেশি এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সম্প্রতি কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্টও জমা পড়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার বোর্ডে। যেখানে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার ৭৭ শতাংশের বেশি বলে উল্লেখ করেছে ভারত বায়োটেক। তৃতীয় ট্রায়ালের রিপোর্টের জন্যই অনুমোদন আটকে ছিল বলে জানা যাচ্ছে। স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়েছে সংস্থা।