খাস কলকাতায় সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে ‘গায়েব’ প্রায় ৫৫ হাজার ডোজ় ভ্যাকসিন, জানেই না স্বাস্থ্য দফতর
সপ্তাহ খানেক পর মিলল চিঠি। কেন ভ্যাকসিন (Vaccine) সরানো হল? সেই প্রশ্ন উত্তর নেই সেই চিঠিতে।
সৌরভ দত্ত, কলকাতা: এই মুহূর্তে করোনার ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) চাহিদা তুঙ্গে। নতুন ভ্যাকসিন নীতিতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কলকাতায় ঘটে যাচ্ছে সেই ভ্যাকসিন নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি। এক দিকে শহরের একাধিক জায়গায় ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের অভিযোগ সামনে এসেছে। অন্য দিকে, বালিগঞ্জের সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে সরানো হয়েছে কয়েক হাজার ভ্যাকসিনের ডোজ়। সপ্তাহ খানেক সেই বিষয়ে কোনও তথ্যই ছিল না স্বাস্থ্য দফতররে (Health Department) কাছে। বালিগঞ্জ থেকে ভবানীপুরের একটি ক্লিনিকে সরানো হয়েছে সেই টিকা। ঠিক সময়ে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুরসভার (KMC) বিরুদ্ধে।
সারা রাজ্যে যে’কটি টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম সেরা এই ৩৩ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে আবস্থিত সংকরক্ষণ কেন্দ্রটি কেন্দ্রীয় সরকারের সব মাপকাঠি মেনে চালানো হয় এটি। তাপমাত্রা কেমন থাকছে, যন্ত্রপাতি সব ঠিক মতো চলছে কিনা, এ সবই নিয়মিত পরিদর্শন করে দেখা হয়। এখান থেকেই কাউকে না জানিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে টিকা সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, কোভিশিল্ডের প্রায় ৫৫ হাজার ডোজ় ও কোভ্যাকসিনের ৫ হাজার ডোজ় টিকা সরানো হয়েছে। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চেতলায় ‘মেয়র’স হেলথ ক্লিনিক’-এ নিয়ে যাওয়া হয় ভ্যাকসিনগুলি।
কবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হল, কেনই বা নিয়ে যাওয়া হল, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি স্বাস্থ্য দফতরকে। সপ্তাহখানেক পরে সেই সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের দাবি, কেন ওই টিকা সরানো হল, তা নিয়ে একটাই শব্দও খরচ করা হয়নি ওই চিঠিতে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, কেন টিকা সরানোর আগে জানানো হল না? কেন সরানো হয়েছে সেই কারণও জানানো হল না কেন? তাঁদের দাবি, কোথাও ভ্যাকসিন নিয়ে গিয়ে রাখার আগে নিয়ম মাফিক পরিকাঠামো পরীক্ষা করা প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন ক্যাম্প করতে চাইলেন নিপাট ভদ্র ‘অফিসার’ দেবাঞ্জন, সন্দেহই হয়নি নর্থ সিটি কলেজের অধ্যক্ষের
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এত দিন অন্যকিছুর সিন্ডিকেট চলত, রাজ্যে ভ্যাকসিনের সিন্ডিকেট চলছে। এ রাজ্যে চাকরি, পড়াশোনা সব ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। হাত বদল হয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভ্যাকসিন।’ তাঁর দাবি তৃণমূল নেতারা ঠিক করছেন, কে কোথায় ভ্যাকসিন নেবেন।