AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar: মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, কটকে ট্রেন দুর্ঘটনা কাড়ল আলিপুরদুয়ারের যুবকের প্রাণ

Alipurduar: শুভঙ্করের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার পর আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, "খুব দুঃখজনক ঘটনা। এখানে বেসরকারি কারখানায় কাজ করত। প্রথমে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তারপর প্রথম যে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল, সেটা আমাদের জেলার।"

Alipurduar: মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, কটকে ট্রেন দুর্ঘটনা কাড়ল আলিপুরদুয়ারের যুবকের প্রাণ
কটকে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত আলিপুরদুয়ারের যুবকImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2025 | 11:28 PM
Share

আলিপুরদুয়ার: মায়ের চিকিৎসা করাতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। চিকিৎসার পর তাঁর মা ফিরে আসছেন। কিন্তু, বছর বাইশের যুবকের আর বাড়ি ফেরা হল না। রবিবার ওড়িশার কটকে বেঙ্গালুরু-কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আলিপুরদুয়ারের ওই যুবকের। মৃতের নাম শুভঙ্কর রায়।

শুভঙ্করের বাড়ি আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়ায়। গত সোমবার মা চিত্রা রায়কে নিয়ে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। সেখানে মায়ের চিকিৎসা করান। এদিন বেঙ্গালুরু-কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। কটকের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এক্সপ্রেস ট্রেনটি। লাইনচ্যুত হয় বেশ কয়েকটি বগি। দুর্ঘটনার পর শুভঙ্করের মা বাড়িতে ফোন করে জানান, ছেলেকে দেখতে পাচ্ছেন না। এর কয়েকঘণ্টা পরই শুভঙ্করের মৃত্যুর খবর জানা যায়। প্রশাসনের তরফে বাড়িতে সেকথা জানানো হয়। শুভঙ্করের বাড়িতে আসেন পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর এবং আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালও আসেন।

শুভঙ্করের পিসি মঞ্জু রায় বলেন, “সোমবার মাকে নিয়ে বেঙ্গালুরু গিয়েছিল শুভঙ্কর। পুলিশ এসে ঘটনাটি জানাল।” কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, “আমার কেন মরণ হল না। ওকেই মরতে হল।”

শুভঙ্করের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার পর আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “খুব দুঃখজনক ঘটনা। এখানে বেসরকারি কারখানায় কাজ করত। প্রথমে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তারপর প্রথম যে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল, সেটা আমাদের জেলার।”

আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, “শুনলাম মাকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। শুভঙ্কর আর নেই, এটা জেনে ছুটে এসেছেন তাঁর সহকর্মী বন্ধুরা। একটি ঘরের সরঞ্জাম তৈরির কোম্পানিতে কাজ করতেন শুভঙ্কর।”

শুভঙ্করের বন্ধু রিক বর্মন বলেন, “ভাবতেই পারছি না কী করে হল এটা। ও খুব ভাল ছেলে ছিল। সবার বিপদে আগে পা বাড়াত।” শুভঙ্করের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।আগামিকাল ময়নাতদন্তের পর দেহ ফিরবে আলিপুরদুয়ারে।