Mid Day Meal: অঙ্গনওয়াড়িতে রাঁধুনিকে ‘স্নান’ করানো হল খিচুড়ি দিয়ে!
MID Day Meal: এমনকি শনিবার থেকে পাত্রে জমে থাকা খিচুড়ি সোমবারও বিতরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর মঙ্গলবারও সেই ৩ দিন ধরে পাত্রে জমে থাকা খিচুড়ি বিতরণ করতে গেলে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এলাকাবাসীরা
উত্তর দিনাজপুর: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তিন দিনের বাসি খিচুড়ি খাওয়ানোর অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার। কেন্দ্রের মহিলা কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে মাথায় খিচুড়ি ঢেলে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ ব্লকের বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গৈতর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল।
অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রায়শই শিশুদের বাসি খিচুড়ি দেওয়া হয়। এমনকি শনিবার থেকে পাত্রে জমে থাকা খিচুড়ি সোমবারও বিতরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর মঙ্গলবারও সেই ৩ দিন ধরে পাত্রে জমে থাকা খিচুড়ি বিতরণ করতে গেলে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এলাকাবাসীরা। এরপর কর্মীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বচসা বাধে। বাসি খিচুড়ি ফেলে দিতে গেলে ওই খিচুড়ির বালতি কেড়ে নিয়ে হাতা দিয়ে কর্মীদের মাথায় ও শরীরে ঢেলে দেন বিক্ষোভকারীরা।
যদিও ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা কর্মীর দাবি, রাঁধুনিদের বারংবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা একাজ করেন। পালটা কেন্দ্রের রাঁধুনি কর্মীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। যদিও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যাও জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার এই অভিযোগ এসেছে। তাই এদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। খবর পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিকরা।
এর আগে মিড ডে মিল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে বাংলায়। কোথাও মিড ডে মিলে টিকটিকি, কোথাও সাপ, কোথাও ব্যাঙ পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি মিড নিয়ে বিস্ফোরক একটি রিপোর্টও প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রিপোর্ট যৌথ রিভিউ কমিটির। ১০০ কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগ। জেলা থেকে আসা রিপোর্টের সঙ্গে কেন্দ্রের রিপোর্টও মিলছে না বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। তারই মধ্যে প্রকাশ্যে আসছে বিচ্ছিন্ন এই ধরনের ঘটনা।