কালিয়াগঞ্জ: মালদার পর এবার কালিয়াগঞ্জ। ফের জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) বনাম রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন (WBCPCR)। রবিবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে গিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। এরপর থেকেই শুরু ‘তু-তু ম্যায়-ম্যায়’। টুইট করে রাজ্য কমিশন দাবি করে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে জাতীয় কমিশন। যদিও, সংবাদ মাধ্যমের সামনে উল্টো সুর শোনা গেল রাজ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় ও পদাধিকারি অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। দুই কমিশনকে মিলে মিশে কাজ করার পাশাপাশি ‘জমজ ভাই-বোন’ বলেও উল্লেখ করলেন তাঁরা।
এ দিন,সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুদেষ্ণা রায় ও অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায়। বলেন, “আমরা চাই জাতীয় কমিশনের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে। আমরা তো ভাই-বোনের মতো। জাতীয় কমিশন অভিযোগ করে বলছে আমরা নাকি অযোগ্য। তাহলে তো আমাদের যোগ্য করে তোলা ওদের দায়িত্ব। আমাদের ভুল শুধরে দেওয়া উচিত। আমাদের তদন্তে ওদের সাহায্য করা উচিত।” পাশাপাশি এ দিন, সুদেষ্ণা রায় এও জানান কেন তাঁরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ঘটনার দিন দেখা করেননি। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে শিশু সুরক্ষা বড়। পরিবার বড়। সেই কারণে আমরা বিরত থেকেছি। কোনও রকম বিতর্কিত মন্তব্য করিনি। আমরা চাই পরিবারটি যেন শান্তি পায়। ঠিকমতো তদন্ত হোক। এর জন্য পুরো তদন্ত হতে দিতে হবে। সেই কারণে আমরা যেতে চাইনি। নির্যাতিতার পরিবার বলেছে যে ১১ দিন পর যখন শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়ে যাবে তখন আসতে।”
আজ নাম না করে জাতীয় কমিশনের উপর ক্ষোভও উগরে দেন চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। বলেন, “যারা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করে তাদের সবাইকে ধিক্কার আমাদের। তা সে কোনও মানুষ হোক বা কমিশন। একটা কমিশনের কাজ শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া। আমরা চেষ্টা করি। হয়ত সবসময় তা পারি না। আমরা আশা করব প্রতিটি কমিশন রাজনৈতিক রঙের উর্ধে গিয়ে কাজ করবে। আর আমাদের রাজ্যের ক্ষেত্রে গর্বের বিষয় যে আমরা রাজনীতির রঙের উপরে গিয়ে কাজ করি।” পাশাপাশি ঘটনার দিন পুলিশের ভূমিকায় তীব্র নিন্দা করেছেন সুদেষ্ণা। বলেছেন, “আমরা এখানে তদন্ত করছি। পুলিশ খুব অন্যায় করেছে। আমরা রিপোর্ট তলব করেছি। ওই দিন কী ঘটেছিল। কেন ঘটেছিল। কারা ঘটিয়েছিল পুরো রিপোর্ট খতিয়ে দেখব আমরা।”