রায়গঞ্জ: কী হবে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)? রাজ্যে থাকবেন নাকি নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লি? এটাই যেন এখন লাখ টাকার প্রশ্ন বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি। ইডিকে সায়ও দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কিন্তু, মাঝপথে অনুব্রতর ‘সহায়’ শিবঠাকুর। অনুব্রতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন বীরভূমের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের মেজে গ্রামের বাসিন্দা এই শিবঠাকুর। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। এদিন দুবরাজপুর আদালতে ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানেই অনুব্রতকে জামিন দিয়েছে আদালত। আর তাতেই ফের অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এ প্রসঙ্গেই এবার বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশাকে’ বক্রোক্তি করতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)।
অনুব্রতর জামিন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এদিন সুকান্ত বলেন, “অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গেলে আমরা একটাই কথা বলব দুগ্গা দুগ্গা।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ইটাহারে দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে এ কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রসঙ্গত, অনুব্রত তাঁকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শিবঠাকুর। সেই মামলাতেই সম্প্রতি অনুব্রতকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তারপর থেকে তিনি ছিলেন রাজ্য পুলিশের হেফাজতে। ‘রেহাই’ মিলেছিল ইডি সঙ্গে দিল্লি যাত্রায়। এদিকে এদিনও দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রতকে আরও ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। দিয়ে দেয় জামিন।
অন্যদিকে এদিন আবার উত্তরবঙ্গের তিন আইসি-র বাড়িতে দুর্নীতি দমন শাখার হানা নিয়েও কটাক্ষবাণ শানান সুকান্ত। তিনি বলেন, “অত্যন্ত সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। বেছে বেছে এই তিনজনকে কেন টার্গেট করা হল বুঝতে পারছি না। হয়তো তৃণমূলের সব কথা শুনছিল না। তাই শায়েস্তা করার জন্য করা হচ্ছে।”
তবে শুধু সুকান্ত নন এদিন বীরভূমের নলহাটির সভা থেকে অনুব্রত ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় বিধানসভা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পুরনো এফআইআরকে হাতিয়ার করে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এই মমতাই এই জেলাতেই ১০টা প্রশাসনিক সভাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক, এসপিকে, মুখ্যসচিবকে, ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন কেষ্ট যা বলবে তাই করতে হবে। আর এখন কেষ্টকে এখানে রাখতে চাইছে।” এরপরই অনুব্রত তিহাড় যাত্রা নিয়ে বক্রোক্তি করে শুভেন্দু আরও বলেন, “এখানে থেকে কচি পাঁঠার ঝোল, অষ্টমীর দিন লুচি আর ঝোলার ডাল খাচ্ছে। কিন্তু, তিহাড়ে গেলে এসব জিনিস পাবে না। আর তখন বলবে ১০০ টাকার মধ্যে ৭৫ টাকা আমি কলকাতায় পাঠিয়েছি আর ২৫ চাকা রেখেছি নিজের কাছে।”