রায়গঞ্জ: একশো দিনের বকেয়া টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এই নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করেছেন বঞ্চিতরা। একদিকে যখন ১০০ দিনের বকেয়া টাকা নিয়ে আন্দোলনে তৃণমূল, সেই সময়ই কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা খরচ না করার অভিযোগ উত্তর দিনাজপুরে। ফলত, বিরোধীদের কটাক্ষ অর্থ দিলেও তা খরচ করতে পারছে না শাসকদল।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য ও আমলাদের নিয়ে বৈঠকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ নিয়ে রিভিউ মিটিং হয়। সেখানে দ্রুত চলতি অর্থবছরের টাকা খরচের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। বৈঠকে খোদ জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা এই টাকার খরচে পিছিয়ে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক গুলিকে খরচের জন্য সময়সীমা বেধে দেন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মোট ৯ টি ব্লকের মধ্যে ৭ টি ব্লক এবং জেলার মোট ৯৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭ টি পঞ্চায়েত এখনো চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের বরাদ্দ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৫০ শতাংশ টাকা খরচ করতে পারেনি। এই খরচ বৃদ্ধি না হলে পরবর্তী ৫০ শতাংশ টাকা পেতে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরে।
আর এই ঘটনাতেই সুড় চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলো। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা নিয়ে রাজ্য জুড়ে তৃণমুলের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে বিজেপির সাফ বক্তব্য, কেন্দ্র যে রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে এটা এই ঘটনায় প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে টাকা তছরুপ ও চুরি ধরা পড়তেই পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে আমলারা অর্থ খরচে ভয় পাচ্ছেন।
উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পম্পা পাল বলেন, “আমরা খতিয়ে দেখছি যে উত্তর দিনাজপুরের নটি ব্লকেই কয়েকটি পঞ্চায়েতে টাকা খরচা করতে পারেনি। তারা কথা দিয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করবে।”জেলা বিজেপি সভাপতি বলেন, “বাংলায় প্রবাদ রয়েছে ঠেলার নাম বাবাজী। কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থ যথেচ্ছভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে। তবে মোদী সরকারের ডিজিটালাইজিং, জিও ট্যাগিং ইত্যাদির জন্য সব টাকা হাফিস করতে পারেননি।” অতিরিক্ত জেলা শাসক মানস মণ্ডল বলেছেন, “আমরা চেষ্টা করছি। সব প্ল্যানিং করা হয়েছে। সব গ্রাম পঞ্চায়েত কাজ করেছে। তবে তা দ্রুত করা হবে।”