North Dinajpur: রোগীমৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ শুনেই হাসপাতালে কানাইয়ালাল, নার্সদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ালেন
Chaos in hospital: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল। হাসপাতালে নার্সদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। প্রকাশ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের ধমক দিতে দেখা যায় তাঁকে। একজন নার্সকে চুপ করতেও বলেন।

ইসলামপুর: রোগীমৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ। উত্তেজনা উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। মৃত রোগীর নাম প্রণব দত্ত(৫৫)। বাড়ি ইসলামপুর শহরের ক্ষুদিরামপল্লি এলাকায়। বিক্ষোভের কথা শুনে হাসপাতালে পৌঁছে যান তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। নার্সদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বমি ও বুক জ্বালা নিয়ে প্রণব দত্তকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার সকালে ছুটি দেওয়া হয় তাঁকে। ওইদিন রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে একাধিকবার কর্তব্যরত নার্সদের জানানো হলেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেননি। চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রণব দত্তের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ। পরিজনদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিশ।

কানাইয়ালাল আগরওয়াল
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল। হাসপাতালে নার্সদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। প্রকাশ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের ধমক দিতে দেখা যায় তাঁকে। একজন নার্সকে চুপ করতেও বলেন। পরে কানাইয়ালাল বলেন, “আমরা পেপার দেখলাম। ঠিকঠাক চিকিৎসা হয়নি। রোগীর পরিবার বলছে, ডাক্তারের প্রেসক্রাইবের পর ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি। রোগীর পরিবার অভিযোগ জানালে হাসপাতাল সুপারের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টা জানতে পারব।” নার্সদের ব্যবহার নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিলেন রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। একজন নার্সের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ওই নার্সের ব্যবহার খুব খারাপ। আমি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব।”
এদিকে, মৃতের বোন সুমিতা দত্ত বলেন, “দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি করার পর কোনও চিকিৎসাই হয়নি। নার্স, ডাক্তার কেউ দেখেননি। আমাদের বললে আমরা বাইরে নিয়ে চলে যেতাম।”
