‘ভোট না দিলে দেখে নেব’, নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

ভোটেরদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিদায়ী বিধায়ক হামিদুল রহমান, সমালোচনায় বিরোধীরা

'ভোট না দিলে দেখে নেব', নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে হুমকি তৃণমূল বিধায়কের
নিজস্ব ফটো
Follow Us:
| Updated on: Mar 02, 2021 | 11:51 PM

উত্তর দিনাজপুর: কখনও হাত কেটে নেওয়ার হুমকি। কখনও বা বোমা মারার। নির্বাচনী প্রচারে ছোট-বড় নেতাদের হুমকির ছবি বদল হল না নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধু লাগু হওয়ার পরেও। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) যখন শান্তিপূর্ণ ভোট করার ব্যাপারে পদক্ষেপ করছেন, তখনই শাসক দলের বিধায়কের গলাতেই শোনা গেল হুমকির সুর। ভোট না দিলে ভোটারদের রীতিমত দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূলের বিধায়ক (TMC MLA) হামিদুল রহমান (Hamidul Rahman)।

মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিধানসভার আলোরানি ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী জনসভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোপড়ার তিনবারের বিধায়ক হামিদুল রহমান ভোটারদের কার্যত হুমকির সুরে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে যারা ভোট দেবে না, নির্বাচনের পর তাদের দেখে নেওয়া হবে। হামিদুলের কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। আর যারা বেইমানি করেন ভোটের পরে তাদের সঙ্গে দেখা হবে।” তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে সরব হয়েছে জেলার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও।

তবে এসবে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না হামিদুল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাল মানুষরা এই বক্তব্যকে ভালভাবেই নেবেন, আর খারাপ মানুষ হলে তিনি খারাপ ভাবেই নেবেন। এরপর ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর মন্তব্য, “ভোটের পরে তো দেখা হবেই। এত উন্নয়নের পরেও যদি কেউ বেইমানি করে তবে তাদের জন্য খেলা হবে।”

তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পর বিরোধী দলের নেতা পার্থ ঘোষ বলেন, ‘এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব। হামিদুলের পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। তাই ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের পর ২০১১ ও ২০১৬ সালে পর পর তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন হামিদুল।

আরও পড়ুন: আবেদনের পর দু’মাস অপেক্ষা করে বিজেপি-তে ঢুকতে পেরে আপ্লুত জিতেন তিওয়ারি

ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে , রাজনৈতিক পারদের গ্রাফ ততই চড়চড় করে বাড়ছে। তার মধ্যেই এই ধরনের হুমকি শুনে রাজনৈতিক মহলের শঙ্কা, ফের একবার রক্তাক্ত হবে না তো বঙ্গ ভোটের মঞ্চ?