আবেদনের পর দু’মাস অপেক্ষা করে বিজেপি-তে ঢুকতে পেরে আপ্লুত জিতেন তিওয়ারি

আজ বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেও গতকাল পর্যন্ত তৃণমূলেরই সমর্থন করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক টুইটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসাও করেছিলেন। তাহলে রাতারাতি এমন ভোলবদল কীভাবে?

আবেদনের পর দু’মাস অপেক্ষা করে বিজেপি-তে ঢুকতে পেরে আপ্লুত জিতেন তিওয়ারি
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 02, 2021 | 11:37 PM

কলকাতা: তৃণমূলের হয়ে সোমবারও TV9 ভারতবর্ষে গলা ফাটিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই হুগলির বৈদ্যবাটিতে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। গেরুয়া নামাবলি গায়ে চাপানোর পর এ দিন রাতেই তিনি বিজেপির (BJP) হেস্টিংসের কার্যালয়ে আসেন। সেখানে TV9 বাংলার প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়ে বলেন, “দু’মাস অনুরোধ করার পর একটা দলে স্থান পেয়েছি। বিজেপি নেতৃত্বকে বলেছিলাম আমি তাঁদের আদর্শে অনুপ্রাণিত। কাজ করতে চাই। তাঁরা সুযোগ করে দিয়েছেন। ভাল তো লাগবেই।”

আজ বিজেপিতে যোগ দিলেও গতকাল পর্যন্ত তৃণমূলেরই সমর্থন করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক টুইটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসাও করেছিলেন। তাহলে রাতারাতি এমন ভোলবদল কীভাবে? ইদানীংকালের পটু রাজনীতিদের কায়দায় এর উত্তরও ব্যাখ্যা করেন জিতেন্দ্র। তাঁর কথায়, “তৃণমূলে থাকার সময় সেই কথা জোরালভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরাই আমার নৈতিক দায়িত্ব ছিল। তৃণমূলে থেকে দলের সমালোচনা করা ঠিক না।”

বিজেপি সূত্রে খবর, যে বিধায়করা দল বদলে বিজেপিতে আসছেন তাঁদের টিকিট দেওয়া হবে। তাহলে কি তিনি পাণ্ডবেশ্বর থেকেই লড়বেন? এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য ঝেড়ে কাশেননি জিতেন্দ্র। সওয়াল খানিকটা এড়িয়ে যাওয়ার কায়দায় তিনি বলেন, “আমি দাঁড়াবো কিনা সেটা তো আমার দল ঠিক করবে।”

আরও পড়ুন: ছোট থেকেই জয় শ্রী রাম বলতাম, মঞ্চে বলতে পারিনি, এ বার বলব: জিতেন্দ্র তিওয়ারি

জিতেন্দ্রর বিজেপিতে যাওয়াটা যদিও কখনই অপ্রত্যাশিত ছিল না। শুধু ছিল সঠিক সময়ের অপেক্ষা। ফলে একে তৃণমূলের জন্য নতুন করে ‘ধাক্কা’ বলে মানতে নারাজ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের একটি বড় অংশ। কয়েকটা মাস পিছিয়ে গেলেই মনে পড়বে, গত ডিসেম্বরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়েছিল একাধিক প্রথম সারির তৃণমূল নেতার দলবদল নিয়ে। শুভেন্দু অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের মতো নাম গেরুয়া শিবিরে শামিল হলেও জিতেন্দ্র নামে আপত্তি ছিল বিজেপি নেতাদের একটা বড় অংশের। যা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপির একাধিক নেতা-সাংসদ। ফলে বাকিরা দলবদল সেরে নিলেও আটকে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। বিপাক বুঝে তৃণমূলেই তিনি ফেরেন। তবে মাস তিনেকের মাথায় নিজের কাঙ্খিত দলে স্থান পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: বিজেপিকে জিততে দেওয়া যাবে না, আবেদন নিয়ে কলকাতায় আসছেন সিঙ্ঘুর কৃষকরা