দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ, ইডি দফতর থেকে বেরিয়েই পালটা হুঁশিয়ারি কুণালের
দীর্ঘ সাত ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। দলবদলু নেতারাই তদন্তকে প্রভাবিত করছেন বলে দাবি।

কলকাতা: ভোটের মুখে তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) ইডি (Enforcement Directorate)-র তলব নিয়ে চরমে উঠছে চাপানউতোর। সারদাকাণ্ডে (Sarada Cheat Fund Case) মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলে প্রায় ৭ ঘণ্টা কুণালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে নাম না করে দলবদলু নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে তিনি। নাম না করে দুই বিজেপি নেতাকে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে জেলের ঘানি টানানোর হুমকি দেন কুণাল।
২০১৩ সালে চিটফান্ড সারদার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কুণাল ঘোষকে। পরে মুক্তিও পান। তারপর থেকে একাধিকবার তিনি ইডি ও সিবিআই-র মুখোমুখি হয়েছিলেন। এরপর জল গড়ায় বহু দূর। ২০১৯ সাল। সে সময় কলকাতা পুলিশের কমিশনার ছিলেন রাজীব কুমার। সারদাকাণ্ডের তদন্তে শিলংয়ে তাঁর মুখোমুখি বসানো হয় কুণাল ঘোষকে। হামেশাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন তিনি। তবে আজকের দীর্ঘ সময়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর কিছুটা আগ্রাসী শোনায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: ছোট থেকেই জয় শ্রী রাম বলতাম, মঞ্চে বলতে পারিনি, এ বার বলব: জিতেন্দ্র তিওয়ারি
কুণাল বলেন, “বর্তমানে রাজ্যের শাসকদল থেকে অন্যদলে চলে গিয়ে দু’জন প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।” তাঁর হুমকি, “আমি বাঘছাল পরা বিড়াল নই। কুণাল ঘোষ যদি বেঁচে থাকে, তাহলে দু’জনকে জেলের ঘানি টানিয়ে ছাড়ব।” প্রসঙ্গত, এ দিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে আসেন কুণাল ঘোষ। প্রায় ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ৫টা ৪৫মিনিট নাগাদ বের হন তিনি। আগামী সপ্তাহে ৮ ই মার্চ ফের দফতরে পুনরায় আসবেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: সূর্যকান্ত নেই, সিপিএম-এর প্রার্থী তালিকায় তারকা-তারুণ্যের বড় চমক, কে কোথায় দাঁড়াতে পারেন?





