বিজেপিকে জিততে দেওয়া যাবে না, আবেদন নিয়ে কলকাতায় আসছেন সিঙ্ঘুর কৃষকরা

দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে এই কৃষক সংগঠন জানিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলা রাজ্যগুলিতে গিয়ে সেখানকার কৃষকদের বিজেপিকে পরাস্ত করার আবেদন করবে।

বিজেপিকে জিততে দেওয়া যাবে না, আবেদন নিয়ে কলকাতায় আসছেন সিঙ্ঘুর কৃষকরা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 03, 2021 | 1:22 PM

জ্যোতির্ময় রায়, নয়াদিল্লি: রাজধানীর কৃষক আন্দোলনের (Farmers Protest) ঢেউ এ বার আছড়ে পড়তে চলেছে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতেও (Assembly Election 2021)। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি নির্বাচনমুখী রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করবে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Kisan Morcha)।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সাংবাদ সম্মেলন করে জানায় নতুন এই কর্মসূচির কথা। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে এই কৃষক সংগঠন জানিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলা রাজ্যগুলিতে গিয়ে সেখানকার কৃষকদের বিজেপিকে পরাস্ত করার আবেদন করবে। বিজেপিকে পরাস্ত করার আবেদন নিয়ে আগামী ১২ মার্চ কলকাতায় একটি জনসভা করবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। এ বাদেও একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কৃষক আন্দলনের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে আগামী ৮ মার্চ কুন্ডলি-মানেসর-পালওয়াল (কেএমপি) এক্সপ্রেসওয়েও অবরোধ করা হবে। এবং মহিলা দিবসে মহিলা প্রতিবাদকারীরা দিল্লির সীমানা সহ অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ মার্চ কলকাতায় রামলীলা ময়দানে একটি জনসভার আয়োজন করা হবে। এই প্রসঙ্গে কিষাণ মোর্চা নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, “আমাদের সংগঠন আরাজনৈতিক। আমরা চাষিভাইদের অনুরোধ করব নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে। কারণ বিজেপি কৃষকদের প্রতি অন্যায় করেছে।” তাছাড়া কৃষক নেতারা কর্ণাটকেও যাবেন। যেখানকার কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্যের চেয়ে কমপক্ষে ১০০০ টাকা কম পাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, “আমাদের শুধুই কৃষকদের কাছে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার জন্য আবেদন জানাবে।”  তিনি পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল-সহ বাকি নির্বাচনী রাজ্যও পরিদর্শন করবেন বলে জানান। রাজেওয়ালের দাবি, “আমরা কোনও দলের পক্ষে ভোট চাইব না। আমরা কেবল জনগণকে আবেদন করব এমন প্রার্থীদের ভোট দিন যে বিজেপিকে পরাজিত করতে পারবে।”

আরও পড়ুন: ছোট থেকেই জয় শ্রী রাম বলতাম, মঞ্চে বলতে পারিনি, এ বার বলব: জিতেন্দ্র তিওয়ারি

যদিও সোমবারই প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়ে একটি বক্তব্য রাখেন। একটি ওয়েবিনার তিনি নতুন আইনের সমর্থনে বলেন, “চুক্তিভিত্তিক চাষ আমাদের দেশে আগে থেকেই চলছে।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “কৃষি খাতে গবেষণা ও উন্নয়নে বেশিরভাগ অবদান এখনও সরকারি খাতের। এখন সময় এসেছে যে এতে বেসরকারি খাতের অবদানও বাড়াতে হবে। আমাদের কৃষকদের এমন একটি বিকল্প দেওয়া উচিত যে তারা গম এবং ধান রোপণের মধ্যেই যেন সীমাবদ্ধ না থাকে।” মোদীর স্পষ্ট বক্তব্য, “যুগ পালটাচ্ছে। উন্নয়নের পথ ধরে চলতে গেলে প্রয়োজন অনুসারে নিয়মও পালটাতে হবে। তাই সরকারও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তাধারা পালটাচ্ছে। ভারতে কৃষি ক্ষেত্রেও তাই পরিবর্তন আসছে।”

বিশেষজ্ঞ মহলের অবশ্য দাবি, সকল বিরোধিতার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। কৃষক সংগঠন এবং সরকারের উচিত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা। তবে কৃষকদের অনড় মনোভাবের কারণে ক্রমশ এই আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: সূর্যকান্ত নেই, সিপিএম-এর প্রার্থী তালিকায় তারকা-তারুণ্যের বড় চমক, কে কোথায় দাঁড়াতে পারেন?