Raiganj Medical College And Hospital: মর্গের মধ্যেই মৃতের স্ত্রী ও বোনের মধ্যে চুলোচুলি-মারপিট, কারণ শুনে অবাক স্বাস্থ্যকর্মীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 22, 2022 | 3:41 PM

North Dinajpur: রায়গঞ্জ বন বিভাগের অধীনে কর্মরত ফালাকাটার বাসিন্দা বাবলা চন্দ। সোমবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ কর্নজোড়ায় সরকারি আবাসন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

Raiganj Medical College And Hospital: মর্গের মধ্যেই মৃতের স্ত্রী ও বোনের মধ্যে চুলোচুলি-মারপিট, কারণ শুনে অবাক স্বাস্থ্যকর্মীরা
মর্গেই চুলোচুলি (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ধুন্ধুমার। মৃতদেহ দেখতে এসে মর্গ চত্ত্বরেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দু’পক্ষের হাতাহাতি বেধে যায়। শুধু তাই নয়, চলল লাগাতার মারামারি। মৃতের স্ত্রী ও বোনের ঝগড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চত্ত্বরে। গোটা ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

কী ঘটেছে?
এক বন দফতরের কর্মীর মৃতদেহ দেখতে আসেন তাঁর বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই সময় আচমকাই বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। একে অন্যের প্রতি দোষারোপ কার্যত হাতাহাতির রূপ নেয়। হাসপাতাল চত্ত্বরের মর্গের সামনেই প্রথমে দু’পক্ষের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। মুহুর্তেই মৃতের স্ত্রী ও মৃতের বোনের মধ্যে বেঁধে যায় চুলোচুলি, হাতাহাতি, মারামারি। মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের পুলিশ মর্গের সামনে এই ঘটনায় রীতিমত তীব্র উত্তেজনা বাধে।

রায়গঞ্জ বন বিভাগের অধীনে কর্মরত ফালাকাটার বাসিন্দা বাবলা চন্দ। সোমবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ কর্নজোড়ায় সরকারি আবাসন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার মৃতদেহের ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালের মর্গে রাখা হয়। ময়না তদন্তের প্রস্তুতি চলাকালীন মৃতের বাড়ির লোকেরা সেখানে আসেন। এরপর খানিক বাদে মৃতের স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরাও সেখানে পৌঁছায়। দুই পরিবার মুখোমুখি আসতেই  তীব্র বচসা বাধে। মুহুর্তেই মৃতের বোন ও স্ত্রী এর মধ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি, মারামারি। প্রকাশ্যেই দু’জনের চুলোচুলিকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা বাধে।

উভয় পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তাদের মানসিক চাপেই বাবলা চন্দ নামে আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের স্ত্রী অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন, তারা রায়গঞ্জের দেবীনগরে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। কিন্তু মাস কয়েক আগে তিনি ও তার স্বামী-সন্তান ফালাকাটায় শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন। তবে সেখানে আসার পর শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের অত্যাচারে পুনরায় বাপের বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন বলে দাবি বাবলার স্ত্রীয়ের। অন্যদিকে, মৃতের বাড়ির সদস্যদের দাবি স্ত্রী মানসিক নির্যাতন করতেন সেই কারণে আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি।

তবে মৃত্যুর কারন কী বা কীভাবে এই মৃত্যু তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রায়গঞ্জ থানায় এনিয়ে বাবলার স্ত্রী তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য তার শ্বশুর, শাশুড়ি, মাসি, বোন সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পালটা স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে মৃতের পরিবার। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।

আরও পড়ুন: Pregnant Women Death in Nadia: ‘সুপার বদলির জন্য চিকিৎসক-নার্সরা রোগী মেরে ফেলছে’, প্রসূতির মৃত্যুর পর তুলকালাম তেহট্ট হাসপাতাল

Next Article