‘ঘর থাকলে তো দ্বন্দ্ব থাকবেই, কিন্তু যদি ঘরটাই না থাকে…’ তৃণমূলের ‘ভাঙন’ আড়াল করতে সমন্বয়-ই হাতিয়ার অদিতির

tista roychowdhury |

Apr 20, 2021 | 8:41 PM

শেখর দাশগুপ্তের হয়ে প্রচারেও দেখা যায়নি শঙ্করকে। পাশাপাশি, শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাদ প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের। কারণ, দলে যোগদানের পর তাঁকে কোনও বড় পদ দেওয়া হয়নি দলের তরফ থেকে। তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিপ্লবকে সরিয়ে শঙ্করকে চেয়ারম্যানের পদ দেন।

ঘর থাকলে তো দ্বন্দ্ব থাকবেই, কিন্তু যদি ঘরটাই না থাকে... তৃণমূলের ভাঙন আড়াল করতে সমন্বয়-ই হাতিয়ার অদিতির
অদিতি মুন্সি

Follow Us

দক্ষিণ দিনাজপুর: নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে সরব হলেন রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভার তারকা প্রার্থী অদিতি মুন্সি (Aditi Munshi)। বালুরঘাটের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী শেখর দাশগুপ্তের সমর্থনে এ দিন সভা করেন অদিতি।

সভা থেকে তারকা অদিতি বলেন, ”ঘর থাকলে দ্বন্দ্ব তো থাকবেই। কিন্তু সেই দ্বন্দ্ব নিয়ে এত ভাবলে যদি ঘরটাই না থাকে তখন? তখন কোথায় যাবেন! গাছতলায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে। গাছতলা কি খুব নির্ভরযোগ্য জায়গা? আগে তো নিজের ঘরটা সুরক্ষিত রাখতে হবে। তবে তো বাইরের শত্রুকে হারানো যাবে।”

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে বালুরঘাটে জেলা তৃণমূলের (TMC) দলীয় কোন্দল কেবল সর্বজনবিদিত নয়, দীর্ঘদিনেরও। প্রথমত, একুশের নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে বিশেষ ক্ষোভ রয়েছে দলের অন্দরেই। প্রার্থী শেখর দাশগুপ্ত কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রার্থী টিকিট পেয়ে যান, যে টিকিট পাওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর। শেখর যেদিন তৃণমূলে যোগদান করেন, তখন বালুরঘাটে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন শঙ্কর অনুগামীরা। এমনকী শেখর দাশগুপ্তের হয়ে প্রচারেও দেখা যায়নি শঙ্করকে।

পাশাপাশি, শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাদ প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের। কারণ, দলে যোগদানের পর তাঁকে কোনও বড় পদ দেওয়া হয়নি দলের তরফ থেকে। তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শঙ্করকে সরিয়ে বিপ্লবকে চেয়ারম্যানের পদ দেন। অন্যদিকে বিপ্লবের হাত ধরে তৃণমূলে (TMC) আসা কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাসকে জেলা সভাপতি করা হয়। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলেছে দুইপক্ষে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। তাঁকে জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন পদে পুনর্বাসনও দেওয়া হয়নি। ফলে সব মিলিয়ে ভোট আবহে বালুরঘাটে তৃণমূলের ভিত যে অত্যন্ত নড়বড়ে তা চোখ এড়ায়নি শীর্ষ নেতৃত্বের। সেই কথা স্মরণ করেই এ দিন সমন্বয়ের বার্তা দেন অদিতি।

এছাড়াও, করোনা আবহে সকলকে যথাযথ স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শও দেন তারকা প্রার্থী। এ দিন জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র স্নেহাশিস চক্রবর্তী, তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ, তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বরা। সভার শেষে সকলের অনুরোধে একটি গানও শোনান সকলের প্রিয় ‘রাইকিশোরী’।

আরও পড়ুন: ‘ভারতী ঘোষ ভীষণ রঙিন চরিত্র, মনিরুল একটা ক্রিমিনাল’, বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

Next Article