Kharagpur Municipality: ‘এক ফোনে পুরপ্রধান’, শপথ নেওয়ার এক মাসের মধ্যে চমকে দিলেন চেয়ারপার্সন
Kharagpur: পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ জানান, সাধারণ মানুষ কোনও সমস্যার কথা বললে, তা নোটবুকে লিখে রাখেন তিনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাস তাঁর। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে চেষ্টা করেন সেই সমস্যা সমাধানের।
মেদিনীপুর: পুরবাসীর সমস্যা সমাধানে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম চালু করেছেন ‘টক টু মেয়র’। বহুদিন ধরেই তা চলছে। এবার খড়গপুর পুরসভায় (Kharagpur Municipality) চালু হল ‘এক ফোনে পুরপ্রধান’ পরিষেবা। পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ সেই পরিষেবা চালু করলেন। সাধারণ মানুষ সরাসরি তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন পুরপ্রধানকে। দেওয়া হয়েছে একটি মোবাইল নম্বর। প্রয়োজন মনে করলে ঘটনাস্থলেও চলে যাচ্ছেন পুরপ্রধান। ইতিমধ্যেই মোবাইল নম্বর শেয়ার করেছেন বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে। পাশাপাশি খড়গপুর পুরসভার বিভিন্ন সাইটেও শেয়ার করা হয়েছে তা। পুরপ্রধানের কথায়, সাধারণ মানুষকে তাঁর পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। মানুষ যাতে নিজেদের সমস্যা সরাসরি পুরপ্রধানকে জানাতে পারেন, সে কারণেই এই উদ্যোগ।
পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ জানান, সাধারণ মানুষ কোনও সমস্যার কথা বললে, তা নোটবুকে লিখে রাখেন তিনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাস তাঁর। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে চেষ্টা করেন সেই সমস্যা সমাধানের। শুক্রবারই এরকম একটি অভিযোগ পেয়ে কল্যাণী ঘোষ হাজির হয়েছিলেন খড়গপুর শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের হোমিওপ্যাথি কলেজ রোড এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষের অভিযোগ ছিল, স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ড্রেনের জায়গা দখল করে নিজের ব্য়বসার জায়গা বাড়াচ্ছেন।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ, পুরসভাকে জানিয়েও কাজ হয়নি। পুরপ্রধানের নম্বরে ফোন করেন তাঁরা। এরপরই পুরপ্রধান তাঁর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়েই হাজির হন ঘটনাস্থলে। আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, খড়গপুর পুরসভার প্রথম মহিলা পুরপ্রধান এই কল্যাণীদেবী। প্রদীপ সরকারের ইস্তফার সাড়ে তিন মাস পর তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্যাণী ৫ বারের কাউন্সিলর। গত পয়লা বৈশাখ পুরপ্রধান হিসাবে শপথ নেন তিনি। এর আগে প্রশাসক, মেয়র পারিষদ থেকেছেন তিনি।