দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলিতে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল রবিবার। এই ঘটনায় দু’পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দলের কর্মীরা হাজির হন। অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠান শেষে বিজেপি কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে তাঁদের উপর হামলা হয়। অভিযোগ, আগে থেকেই এলাকায় জড়ো হয় তৃণমূলের লোকজন। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা যখন স্থানীয় পাঁচমাথার মোড়ে পৌঁছয়, সেই সময় তাঁদের ঘিরে ধরেন তৃণমূলের লোকেরা। দুই পক্ষের মধ্যে প্রবল হাতাহাতি শুরু হয়। যদিও মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এরপরই স্থানীয় বাজার এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির তিনজন আহত হন বলে দাবি দলের নেতাদের। একজনের মাথাও ফেটে যায়। এরপরই পাল্টা বিজেপির লোকজন তৃণমূলের সমর্থকদের মারে বলে অভিযোগ। দু’জনের আঘাত গুরুতর। আহত পাঁচজনকেই উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি পিন্টু প্রধান বলেন, “শান্তির মৈপীঠ, শান্তির কুলতলিকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপির ভাড়া করা গুন্ডারা। আমাদের কর্মীরা আজ চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। আমাদের দুই কর্মীকে বেধড়ক মার মেরেছে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তাঁরা। অথচ বিজেপি নাটক করছে, ওদের ছেলেদের নাকি আমরা মেরেছি। এসব মিথ্যার রাজনীতি করে লাভ নেই।”
বিজেপি জয়নগর জেলা সম্পাদক বিকাশ সর্দারের দাবি, “কুলতলি থানা বলুন বা কুলতলি কোস্টাল মৈপীঠ। এখানে তৃণমূলের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে পুলিশ। আইনের শাসন নেই। বারবার বিধায়কের লোকজন এসে বিজেপির উপর হামলা করছে। আজও করল। মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে আমাদের কর্মীদের। পুলিশ নীরব। তাদের কোনও ভূমিকাই নেই। সর্বত্র তৃণমূলের হিংসা চলছে। এর বিহিত চাই আমরা।”