Bhangar School: টুকলি নিয়ে ধস্তাধস্তি ছাত্র-শিক্ষকদের, ঘটনাস্থলে পৌঁছল বিশাল পুলিশবাহিনী
Bhangar: ভাঙড়ের কাঠালিয়া স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সিট পড়েছিল ভাঙড় হাইস্কুলে। সেখানেই পরীক্ষার্থীদের টুকলি করার অভিযোগ ওঠে।
ভাঙড়: পরীক্ষাকেন্দ্রে টুকলি করা নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রদের বচসা। অভিযোগ, তার জেরে তুলকালাম স্কুল চত্বর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangar)। ভাঙড় উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে। সেই পরীক্ষা চলাকালীনই এই পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ। টুকলি করা নিয়েই বচসার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভাঙড় স্কুলে ছাত্রদের সঙ্গে অন্য স্কুলের পরীক্ষার্থীদের কার্যত মারামারির উপক্রম হয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভাঙড় থানা থেকে এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
ভাঙড়ের কাঠালিয়া স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সিট পড়েছিল ভাঙড় হাইস্কুলে। সেখানেই পরীক্ষার্থীদের টুকলি করার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষকরা বাধা দিলে এই নিয়ে বচসা হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ঝামেলা শুরু হয় স্কুলের সামনে। অভিযোগ, ওই ছাত্ররা স্কুলে ভাঙচুর চালানোরও চেষ্টা করে। এক শিক্ষক বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তিতে তাঁর আঙুলও ভেঙে যায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দচন্দ্র সরকার বলেন, “আজকে পরীক্ষা ছিল। ফিজিক্স আর এডুকেশন পরীক্ষা ছিল। সেখানে ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা করে কয়েকজন। নিউট্রেশন ল্যাব ভাঙার চেষ্টা করা হয়। সেখানে যে শিক্ষক ছিলেন, তিনি তা আটকাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর আঙুলও ভেঙে যায়।” এদিকে এদিনের গোলমালে কয়েকজন পরীক্ষার্থীও আহত হয় বলে অভিযোগ। যদিও প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, “কেউ যদি জোর করে ঢুকতে যায়, ভাঙচুর করতে যায়, আহত তো হতেই হবে। এটা তো অস্বাভাবিক কিছু না। আর ক্লাসের মধ্যে কিছুই হয়নি। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। সবাই বাইরে বেরিয়ে এসে এই কাজগুলো করেছে।”
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের হস্তক্ষেপ নিয়েও অভিযোগ ওঠে। তবে ভাঙড় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য,”ছাত্ররা যদি ভাঙচুর চালায়, পুলিশ কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে? স্কুলচত্বরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বও তো পুলিশেরই।” তিনি জানান পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই হয়েছে। বেলা ২টো থেকে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ছিল, তাও নির্বিঘ্নেই শুরু হয়েছে।