ISRO: তারকেশ্বর টু শ্রীহরিকোটা! বাংলা থেকে ISRO-য় ‘পা’ দশম শ্রেণির হিমগ্নর
ISRO: শ্রীহরিকোটায় ইসরোর দফতরে মহাকাশ প্রযুক্তি ও রকেট বিজ্ঞানের উপর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছে হিমগ্ন। সেখানেই আপাতত ১৫ দিন ধরে তাঁর মেধার চর্চা।

হুগলি: তারকেশ্বর টু শ্রীহরিকোটা। পথটা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। রাস্তা মেপে গেলে পেরতে হবে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটারের অধিক। কিন্তু মেধা মেপে গেলে? সেই তরীতেই তো বৈতরণী পেরিয়েছেন দশম শ্রেণির হিমগ্ন। সে এখন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-এর দিন কয়েকের সদস্য। কিন্তু এত অল্প বয়সে, এতটা পথ কীভাবে পেরল সে?
জানা গিয়েছে, শ্রীহরিকোটায় ইসরোর দফতরে মহাকাশ প্রযুক্তি ও রকেট বিজ্ঞানের উপর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছে হিমগ্ন। সেখানেই আপাতত ১৫ দিন ধরে তাঁর মেধার চর্চা।
তারকেশ্বরের হরিপাল এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিমগ্ন ঘোষ। স্থানীয় একটি ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলেই পড়াশোনা করে সে। কিন্তু বয়স অল্প হলেও, হিমগ্ন বিজ্ঞানের ও বিশেষ করে মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ টেক্কা দেবে যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ককেও। আর সেই আগ্রহই তো আজ তাঁকে টেনে নিয়ে গেল এতটা দূরে।
পরিবার সূত্রে খবর, আগামী ১৬ই মে ইসরোর উদ্দেশে রওনা দেবেন হিমগ্ন। তারকেশ্বর থেকে সোজা চলে যাবেন অন্ধ্রপ্রদেশে শ্রীহরিকোটার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। কীভাবে রকেট উৎক্ষেপণ হয়, কীভাবে সেটি মহাকাশের পথে পাড়ি দেয়, কীভাবেই বা তারপরের গবেষণা ভিত্তিক কাজ কর্ম করেন বিজ্ঞানীরা? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই একটি বিশেষ প্রশিক্ষণে যোগ দিতে চলেছে হিমগ্ন।
এই সুযোগ কীভাবে পেল সে?
জানা গিয়েছে, নবম-দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করেছে ইসরো। প্রতি বছরই সেই প্রশিক্ষণে যোগ দিতে বেশ কয়েক ধাপে চলে পরীক্ষা। চলতি বছর এই প্রশিক্ষণে যোগ দিতে চলেছেন মোট ৩৫০ জন। যার মধ্যে ১০ জন সুযোগ পেয়েছেন বাংলা থেকে।





