কলকাতা: ধাপে ধাপে ২৯৪ টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে ফেলেছে বিজেপি (BJP)। কিন্তু, সেই তালিকায় দেখতেই পাওয়া যায়নি মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) নাম। সেই মিঠুন চক্রবর্তী, যিনি দু’দিন আগের কলকাতার ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছিলেন। এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে ব্রিগেডের সুবিশাল মঞ্চ থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে বঙ্গযুদ্ধে তিনি-ই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ কিনা, সেই নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
তবে মঙ্গলবার বিজেপির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর সেই চর্চায় আপাতত দাঁড়ি পড়ল বলা চলে। আরও একটা বিষয় স্পষ্ট হল। বলিউডের ‘ডিস্কো ডান্সার’কে এই মুহূর্তে শুধুমাত্র প্রচারের আলো টানতেই ‘ব্যবহার’ করতে চলেছে বিজেপি। কেননা, শুক্রবার থেকেই তিনি নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর হয়ে প্রচারে নামতে চলেছেন বলে খবর। যদিও তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদের ভোটে লড়ার সম্ভাবনা প্রবল ছিল সোমবার পর্যন্ত।
মিঠুনের ভোটে লড়া নিয়ে যদিও ইতিপূর্বে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি জানিয়েছিলেন, মিঠুন নিজে চাইলে ভোটে লড়তে পারে। তাতে বিজেপি আহ্লাদিত হবে। অন্যদিকে, মিঠুন নিজে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্তভার ন্যস্ত করেছিলেন দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের উপর।
আরও পড়ুন: ‘কুৎসা না করলে এঁদের চলে না,’ শতরূপকে আক্রমণ কবীর সুমনের
এরপর কাশীপুর-বেলগাছিয়ার কলকাতার ঠিকানায় তাঁর নাম ভোটার তালিকায় ওঠার পরই ইতিউতি ফিসফাস শুরু হয়, তাহলে কি প্রথমবার নির্বাচনী ময়দানে লড়বেন সিনে দুনিয়ার ‘ফাটা কেষ্ট’! তবে সেই জল্পনায় জল পড়ে গিয়েছে আজকেই। পরবর্তী সময়ে কোনওভাবে অন্য কারোর বদলে তিনি লড়বেন, এমন সম্ভবনাও কার্যত নেই বললেই চলে। এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।
তবে চর্চা শুধু মিঠুনের নামকে কেন্দ্র করে নয়। তৃণমূলত্যাগী আরও বেশ কিছু নেতা-নেত্রীর নাম আলোচনায় রয়েছে যারা বিজেপিতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত টিকিট পেলেন না। এদের মধ্যে সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস এবং জটু লাহিড়ির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। টিকিট না পেয়ে তাঁরা আদৌ প্রচারে আলোটুকুও ছড়াবেন কিনা সেই নিয়েও ধন্দ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: সপাটে চড় কষালেন নেতাকে, প্রচারে রণংদেহী মানস