ভিডিয়ো: সপাটে চড় কষালেন নেতাকে, প্রচারে রণংদেহী মানস
একুশের ভোটে (West Bengal Assembly Election 2021) পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ তিনি। কিন্তু প্রচারে বেরিয়ে দলের নেতাকে চড় কষিয়ে নিজের ও দলের অস্বস্তি বাড়ালেন মানস।
এলাকায় এলাকায় প্রচারে ঝড় তুলছেন মানস ভুঁইয়া। কিন্তু মঙ্গলবার হল ছন্দপতন। এদিন সবং বিধানসভার তেরো নম্বর অঞ্চলের বিষ্ণুপুর গ্রামে তিনি প্রচারে গিয়েছিলেন মানস। সেই সময় সাধারণ মানুষ তাঁদের অভাব অভিযোগ জানান তৃণমূল প্রার্থীকে। মানসও বারবার তাঁদের বিক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন। ভিডিয়োয় কয়েকজন গ্রামবাসীকে তাঁদের বাড়ি সারানো নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। তাঁরা জানিয়ে দেন সাহায্য পাওয়ার তালিকাও হাতে পাননি। আর এতেই মেজাজ হারান মানস। পাশে থাকা এলাকার স্থানীয় নেতাকেই প্রকাশ্যে সপাটে চড় কষিয়ে বসেন মানসবাবু। সেই সঙ্গে তাঁকে গালাগাল করতেও শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ভিডিয়ো। জানা গিয়েছে যাঁকে চড় মারা হয়েছে তিনি বিষ্ণুপুর তেরো নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি। নাম নির্মলেন্দু ঘোড়াই। এই ঘটনার পর অবশ্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অন্যদিকে মানসবাবুর সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে এই ঘটনার পর মানসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তাঁর একসময়ের রাজনৈতিক সতীর্থ তথা এবার ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বী অমূল্য মাইতি। তাঁর কথায়, “দলের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ, সবাইকে অসম্মান করা ওঁর (মানস ভুঁইয়া) রাজনৈতিক চরিত্র।” তিনি যোগ করেন, “সারা বছর ধরে তৃণমূলের লোকেরা কাটমানি খেয়েছে। এখন নির্বাচনের সময় চড় মারলে কী এসব ভুলে যাবে?”
আরও পড়ুন: পোলিং এজেন্টদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের, মনোবল বাড়ল নির্দল প্রার্থীদের
প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ছ’বার সবং থেকে জিতেছেন মানস ভুঁইয়া। ২০১৬ সালে তিনি জেতেন কংগ্রেসের হয়ে। পরে দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। পরে তিনি রাজ্যসভায় যান। তার ফেলে দেওয়া আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেন তাঁর স্ত্রী গীতা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এই আসনে তৃতীয় হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে সবং কেন্দ্রে ভালো ভোট পায় পদ্ম শিবির। অন্যদিকে, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ অমূল্য দলবদল করায় বিজেপির শক্তি আরও বেড়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই লড়াই এবার কঠিন। তাতেই কি মেজাজ হারাচ্ছেন দুঁদে রাজনীতিবিদ?