AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murshidabad: ‘কেন শুধু নবাবের জেলার ‘তকমা’ পাবে মুর্শিদাবাদ? কেন্দ্রকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের, বদলে যাবে জেলার নাম?

Murshidabad: যদিও বিতর্কের মধ্যেই সুব্রতর দাবি, নবাবের জেলা নয়, শশাঙ্কের জেলা হিসেবে পরিচয় হওয়া উচিত মুর্শিদাবাদের। তিনি চাইছেন, ইতিহাসে গৌড় রাজ শশাঙ্ককে নিয়ে আরও পর্যালোচনা করা হোক। সেই দাবিই তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন।

Murshidabad: ‘কেন শুধু নবাবের জেলার ‘তকমা’ পাবে মুর্শিদাবাদ? কেন্দ্রকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের, বদলে যাবে জেলার নাম?
রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2024 | 3:16 PM
Share

মুর্শিদাবাদ: কেন নবাব শুধু নবাব সিরাজ উদ দৌলার জেলা হিসাবে পরিচিত হবে মুর্শিদাবাদ? কী দোষ করেছেন শশাঙ্ক? কেন ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে শুধু নবাবের নাম? কেন থেকেও না থাকার মতো পড়ে থাকবেন শশাঙ্ক? কেন শুধু নবাবের রাজধানী হিসাবে পরিচিত পাবে মুর্শিদাবাদ? এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীকে তিঠি দিলেন বিজেপি বিধায়ক। বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীর গাজেন্দ্র সিং সেখাওয়াতকে এই চিঠি লিখেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। যা দেখেই অনেকেই বলেছেন এবার যেন রাজনীতির ময়দানে বাংলার নবাব বনাম গৌড়াধিপতি শশাঙ্কের ‘লড়াই’ শুরু হয়ে গেল। আর লড়ছেন এ যুগের রাজনীতির কারবারিরা। 

যদিও বিতর্কের মধ্যেই সুব্রতর দাবি, নবাবের জেলা নয়, শশাঙ্কের জেলা হিসেবে পরিচয় হওয়া উচিত মুর্শিদাবাদের। তিনি চাইছেন, ইতিহাসে গৌড় রাজ শশাঙ্ককে নিয়ে আরও পর্যালোচনা করা হোক। সেই দাবিই তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ইতিহাস নিয়ে দড়ি টানাটানি ভারতে নতুন নয়। সাম্প্রতিককালে মোঘল সম্রাটদের নামাঙ্কিত স্টেশন, জায়গার নাম বদলের ছবি দেখা গিয়েছে দেশের বুকেই। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও। পক্ষে-বিপক্ষে উঠে আসে নানা মত। যদিও সিংহভাগ ক্ষেত্রেই এই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল হিন্দি বলয়ে। এবার সেই বিতর্ক দানা বাঁধল বাংলার বুকেও। 

সুব্রতর দাবি, শুধুমাত্র নবাবের জেলা নয়, ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার একটা চক্রান্ত হয়েছে। শশাঙ্ক বা অন্যান্য গৌড় রাজাদের নামে জেলা চিহ্নিত হোক। পাঠ্য বইয়ে নিয়ে আসা হোক। তিনি বলছেন, “যেখানেই যাই মুর্শিদাবাদের কথা উঠলেই বলা হয় নবাবের লোক। কিন্তু, ৬০০ বছর আগে এখানে রাজা শশাঙ্ক ছিলেন। তার রাজধানী ছিল বহরমপুর ব্লকের কর্ণ সুবর্ন। এটা তো ইতিহাস বলছে। কিন্তু, কেন আমরা নবাবের নামে পরিচিত হব? কেন আমরা শশাঙ্কের দেশের লোক বলে পরিচিত হব? আসলে স্বাধীনতার পর থেকে যে ইতিহাস লেখা হয়েছে তা অনেকাংশেই বিকৃত।”  

পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার খোঁচা দিয়ে বলেন, “বিজেপি ভারতের ইতিহাস ভোলানোর চক্রান্ত করছে। কিন্তু ইতিহাস ভোলানো যায় না।” যদিও ইতিহাসবিদ তথা কান্দি রাজ কলেজের অধ্যাপক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “গৌড় রাজরা এই জেলায় বিদ্যামান ছিলেন। অবশ্যই তাঁদের ইতিহাসও জানা উচিত। মুর্শিদাবাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।  সবগুলিই চর্চা করা উচিত।”