Duttapukur: কাটা-মুন্ডুর নেপথ্যে ৪০০ গ্রাম সোনা, সঙ্গে বাংলাদেশ-যোগ! হজরত-খুনে হাড়হিম তথ্য
Duttapukur: এবার সেই হজরত হত্যাকাণ্ডে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হজরত-খুনে পুলিশের কাছে জেরায় মুখ খুলেছেন অভিযুক্ত জলিল। কী জানা গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে? কেন খুন করা হয় হজরতকে সেই নিয়েই জেরায় উঠে এসেছে তথ্য।

বারাসত: প্রথমে অজ্ঞান, তারপর ধর থেকে মাথা হল আলাদা। দিন কতক আগে এমনই নৃশংস হত্য়াকাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকা। মৃতের নাম হজরত লস্কর। থাকতেন গাইঘাটার আঙুলকাটা গ্রামে। চলতি মাসের দুই তারিখ থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, চুরি-ছিনতাই জাতীয় কাজকর্মেই যুক্ত থাকেন এই হজরত। তার নামে রয়েছে একাধিক অভিযোগও। অতীতে একবার মাদক পাচার মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিল সে।
এবার সেই হজরত হত্যাকাণ্ডে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হজরত-খুনে পুলিশের কাছে জেরায় মুখ খুলেছেন অভিযুক্ত জলিল। কী জানা গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে? কেন খুন করা হয় হজরতকে সেই নিয়েই জেরায় উঠে এসেছে তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত হজরত লস্কর , ওবায়দুল গাজী এবং জলিল এরা সকলে মিলে প্রায় ৪০০ গ্রাম সোনা চুরি করে, যার ভাগ নিয়েই শুরু হয় বিপত্তি। অবশ্য়, মাঝে এও শোনা গিয়েছিল, সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রাণ গিয়েছে হজরতের। তবে আপাতত সত্যি নয় বলেই জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, চুরি করা সোনার ভাগে অন্যদের ঠকিয়েছিলেন হজরত। সেই কারণেই তার উপর রাগ চড়ে বাকিদের। ক্ষোভ মেটাতেই হত্যার দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে ডাকা হয় হজরতকে। ততক্ষণে ঠান্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা নাকি রটে ফেলেছিলেন অভিযুক্তরা। নিজের বাড়িতে ডেকে মাঠের মধ্য়ে নিয়ে প্রথমে মাথায় আঘাত করে হজরতকে অজ্ঞান করা হয়। এরপর হজরতে ধর থেকে মাথা আলাদা করে অভিযুক্ত। প্রমাণলোপাটে সরিয়ে দেওয়া হয় মাথা। যার হদিশ এখনও পায়নি পুলিশ।
উল্লেখ্য, এই রাজ্যে চুরি করে বাংলাদেশে পাচার চালাত হজরত ও তার সঙ্গীরা। বাংলাদেশে বৈধ পাসপোর্ট ব্যবহার করেই যেত তারা। এই কাজে তাদের সঙ্গে ছিল ‘বিএসএফ’ নামে এক ব্যক্তি। যেহেতু তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে পাচারে সাহায্য় করতেন, তাই তার পোশাকি নাম ছিল বিএসএফ। উত্তরপাড়ার একটি চুরির ঘটনায় সেই পোশাকি বিএসএফকে আইএমওতে কল করে এ রাজ্যে ডেকে নিয়ে এসে ধরিয়ে দেয় হজরত। সেই কারণেও জলিলদের চক্ষুশূল হন তিনি বলেই খবর।

