Kakdwip Murder: রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ, ত্রিকোণ প্রেমে খুনের সন্দেহ পুলিশের

Kakdwip Murder: উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর কলেজে ভর্তি হলেও অর্থের অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি দেবিকা। সংসারের হাল ধরতে ওই যুবতী কাজ নেন শপিং মলের। গত ছয় মাস ধরে শপিংমলে কাজ করছিলেন যুবতী।

Kakdwip Murder: রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ, ত্রিকোণ প্রেমে খুনের সন্দেহ পুলিশের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2022 | 6:42 PM

কাকদ্বীপ: কাকদ্বীপের ভুবননগর রেললাইনের কাছ থেকে এক যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করল জিআরপি। পুলিশ জানিয়েছে ওই যুবতীর নাম দেবিকা মাইতি (২০)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা এলাকায়। জানা গিয়েছে ওই যুবতী কাকদ্বীপের একটি শপিংমলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জিআরপি এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ন’টা নাগাদ নিজের ডিউটি শেষ করে শপিং মল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর বাড়ি ফেরার জন্য ওই যুবতী রাত সাড়ে নটার ট্রেন ধরতে কাকদ্বীপ স্টেশনে যান। এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও ওই যুবতী বাড়ি ফেরেননি। এরপরই আজ ভোরবেলা ভুবননগর রেলস্টেশন থেকে ওই যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করে জিআরপি। এরপরই বারুইপুর জিআরপি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এদিন সকালে কুকুর নিয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে জিআরপি। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। আপাতত ওই যুবতীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানার বাসিন্দা দিলীপ মাইতির দুই মেয়ের মধ্যে ছোট দেবিকা। দিলীপবাবু নামখানা বাজারে একটি হাডওয়ার্সের দোকানের কর্মী। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর কলেজে ভর্তি হলেও অর্থের অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি দেবিকা। সংসারের হাল ধরতে ওই যুবতী কাজ নেন শপিং মলের। গত ছয় মাস ধরে শপিংমলে কাজ করছিলেন যুবতী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ মৃতের মোবাইলটি উদ্ধার করেছে। মোবাইলের কললিস্ট ধরে তদন্ত চালাচ্ছে তারা।

এই ব্যাপারে মৃতার মা মালা মাইতি বলেন, ‘সংসারের হাল ধরতে মেয়ে শপিং মলের কাজ নিয়েছিল। সকাল সাড়ে আটটার ট্রেন ধরতে মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। ও রোজ রাত ন’টা কুড়ির ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরে। এদিন সময়ে না আসায় আমরা স্টেশনে গিয়ে খোঁজা খুঁজি করি।’ ওই যুবতীর দিদি দীপিকা দাস বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ অন্ধকারে। কিছু জানি না। শুধু জেনেছি কাল ও সকালে অফিসে চলে যায়।’ অন্যদিকে ওই যুবতীর প্রতিবেশী সন্ধ্যা পাল জানিয়েছেন, ‘দেবিকা আগে পড়াশোনা করত। তারপর পড়াশোনা বন্ধ হওয়ায় শপিং মলে কাজ নিয়েছিল। রোজ সকালে বেরিয়ে যেত, তবে রাতে কখন বাড়ি ফিরত আমরা জানি না। প্রথমে আজ সকালে আমরা খবর পাই ও ট্রেনে কাটা পড়েছে, পরে খবর পাই ওকে ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’ পুলিশের সন্দেহ ত্রিকোণ প্রেমের যোগ রয়েছে এই ঘটনায়।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা