AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Masood Azhar: ‘আমি কেন মরলাম না!’, মা, স্ত্রী, সন্তান হারিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি মাসুদের

Masood Azhar on Operation Sindoor: বুধবার মধ্য়রাতে বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের বলি হয়েছে মাসুদের পরিবার। কানঘেঁষে প্রাণ বেঁচে গিয়েছে মাসুদের। প্রতিবারের মতো এই বারেও মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়েছে সে। কিন্তু ফাঁকি দিতে পারেনি পরিবার হারানোর শোককে।

Masood Azhar: 'আমি কেন মরলাম না!', মা, স্ত্রী, সন্তান হারিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি মাসুদের
মাসুদ আজহারImage Credit: X
| Updated on: May 20, 2025 | 8:53 AM
Share

ইসলামাবাদ: পুলওয়ামার হামলার পর ঠিক যতটা যন্ত্রণা অনুভব করেছিলেন নিহত জওয়ানদের পরিবার। বুধবার সেই একই যন্ত্রণা, একই আর্তনাদ শোনা গেল জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের মুখে। পহেলগাঁওয়ের বদলার মধ্যে দিয়েই ফের একবার পুলওয়ামার বদলা নিয়ে নিল ভারত।

বুধবার মধ্য়রাতে বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের বলি হয়েছে মাসুদের পরিবার। কানঘেঁষে প্রাণ বেঁচে গিয়েছে মাসুদের। প্রতিবারের মতো এই বারেও মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়েছে সে। কিন্তু ফাঁকি দিতে পারেনি যন্ত্রণাকে, ফাঁকি দিতে পারেনি আর্তনাদকে, ফাঁকি দিতে পারেনি পরিবার হারানোর শোককে।

বিবিসি উর্দুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের প্রত্যাঘাত প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান তথা পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী মাসুদ আজহার। সেই বিজ্ঞপ্তিতে মাসুদ জানিয়েছে, বুধবার মাঝরাতে বাহওয়ালপুরে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকে তার মা-সহ পরিবারের দশ জনকে হারিয়েছে সে। প্রাণ গিয়েছে, তার স্ত্রী, ভাইপো, ভাইঝি, পাঁচ সন্তান, বড় দিদি ও তার স্বামীর। এছাড়াও হামলায় নিহত হয়েছে মাসুদ ঘনিষ্ঠ চার জঙ্গি নেতাও।

এই মর্মে ওই জঙ্গি কাকুতির স্বরে আরও জানিয়েছে, ‘এই শোক আমি বহন করতে পারছি না। কিন্তু আমার কোনও অনুশোচনা, কোনও ভয় নেই। আমার প্রতি মুহূর্তে মনে হচ্ছে, এই ১৪ জনের মধ্যে আমিও থাকতে পারতাম। কিন্তু আল্লাহ আমায় বাঁচিয়ে নিয়েছে। তবে ভাল হত যদি এদের সঙ্গে আমিও মরে যেতাম। আমি কেন মরলাম না!’।

উল্লেখ্য, গত রাতে মাসুদের মাদ্রাসায় যে ভয়াবহ হামলা চলেছে, সেই কথাটা এক্স মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানিয়েছিলেন প্রতিবেশী পাকিস্তানি যুবক। সেই ভিডিয়ো তার দাবি, ‘আমাদের বাহওয়ালপুর শহরে মৌলানা মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় পরপর চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। আমরা আমাদের সেনার পাশে আছি। কিন্তু আমার একটাই প্রশ্ন, আমাদের এজেন্সিরা কী করছে? তারা কি ঘুমোচ্ছে? মুজাফফরাবাদেও শুনলাম মিসাইল পড়েছে।’ সমাজমাধ্যম জুড়ে পাক যুবকের ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি ভারতের হাতে প্রাণ গেল জঙ্গি মাসুদেরও? কিন্তু তেমনটা হয়নি। এবারও বেঁচে গেলেন তিনি। কিন্তু রইলেন না অক্ষত।