জেরুজালেম: ইজরায়েল এবং প্যালেস্তানইনের দ্বন্দ্বের ভোগ করে যাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালায় ইজরায়েলের সেনা। সেই অভিযানে ১০ জন প্যালেস্তাইনবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ বছরের শুরুতেই এটিই এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় জঙ্গিদমন অভিযান। এই অভিযানে সব থেকে বেশি প্যাসলেস্তাইনবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের উত্তরাংশে জেনিন শহরে অভিযান চালায় ইজরায়েলি সেনা। সেখানকার শরণার্থী শিবিরেও চলে অভিযান। ওই শহরের রাস্তায় এখন গুলির খোল, ব্যারিকেড জ্বলে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন বর্তমান। অভিযানে ইজরায়েলি হামলায় ওই এলাকারই ১০ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও ২০ জনের বেশি এই হামলায় আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, “ইসলামিক জিহাদি স্কোয়াডের সদস্যদের আটক করতে জঙ্গিদমন অভিযান” চালানো হয়েছে। এবং জঙ্গি মোকাবিলায় গুলিও চালিয়েছে সেনা। তবে প্যালেস্তাইনের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়শই এ রকম অভিযান চালায় ইজারায়েলের সেনা। সেই অভিযানে প্যালেস্তাইনবাসীর মৃত্যুর ঘটনাও সামনে আসে। কিন্তু ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে সাম্প্রতিক যা অভিযান চলেছে তাতে এক সঙ্গে এত জনের মৃত্যু ঘটনা ঘটেনি। ২০০৫ সালের পর এক অভিযানে এক সঙ্গে এত জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইজরায়েলি সেনার ছোড়া গুলিতে রামাল্লার কাছে প্যালেস্তাইনীয়দের মৃত্যু হয়েছে। কেফিয়াত ওবেদ নামের এক কিশোরী তার পরিবারের লোককে চোখের সামনে মরতে দেখেছে ইজারায়েলি সেনার গুলিতে। তাঁর মা-বাবা দুজনেই মারা গিয়েছে এই হামলায়। ইজরায়েলি সেনারা যে এলাকা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তার কাছেই ওই কিশোরীর বাড়ি। কেফিয়াত আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেছে, “বাইরে খুব গুলির শব্দ আসছিল। আমাদের খুব ভয় করছিল। আমরা বাড়ির মধ্যে ছিলাম। মা জানলার কাছে একবার গেল। তখনই গুলি এসে ঘাড়ে লাগল। মা পড়ে গেল মাটিতে। আমরা ছুটে গেলাম। আমার মা আর বেঁচে নেই।” এই বলেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন ওই প্যালেস্তাইনের ওই কিশোরী।