তাশকেন্ত: গত অক্টোবরে কাশির সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে গাম্বিয়ায় প্রায় ৬৬ জন শিশু মারা গিয়েছিল। সেই সময় আঙুল উঠেছিল ভারতে প্রস্তুত চারটি কাশির সিরাপের দিকেও। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য ভারতে প্রস্তুত এই কাশির সিরাপের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন করতেই কেন্দ্রের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছিল। এদিকে গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর সঙ্গে ভারতে প্রস্তুত কাফ সিরাপের কোনও সংযোগ নেই বলে সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DGCI) প্রধান ভি.জি সোমানি। এই আবহে ফের একবার ভারতে প্রস্তুত কাফ সিরাপের দিকে উঠল আঙুল। ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ খেয়েই উজবেকিস্তানে (Uzbekistan) ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল সেদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এরপরই নয়ডার এক ওষুধ প্রস্তুতকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল ভারত।
উজবেকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মারিয়ন বায়োটেকের তৈরি ‘ডক-১ ম্যাক্স’ ট্যাবলেট ও সিরাপ খেয়ে ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই ওষুধ খাওয়ার পরই এই ৭ জন শিশু শ্বাসের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। উজবেকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ডক-১ ম্যাক্স সিরাপে ইথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি রয়েছে। এই রাসায়নিকের কারণেই শিশু মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এক বর্ষীয়ান আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, “এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য় জানতে চেয়ে ডিসিজিআই উজবেকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে বলে জানা গিয়েছে। এই সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে উজবেকিস্তানে ওষুধ সরবরাহ করছে বলে জানা গিয়েছে।”
গাম্বিয়ায় কাশির সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যু:
গত অক্টোবরের কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় এই শিশু মৃত্যুর সঙ্গে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার দ্বারা প্রস্তুত কাফ সিরাপের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারপর ভারতের তরফে তদন্তও শুরু করা হয়েছিল। সেই সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী মেইডেন ফার্মার তৈরি চারটি কাফ সিরাপের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সেই সিরাপের ল্য়াবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গিয়েছে। যা কিডনি ক্ষতি করার জন্য দায়ী। তবে সম্প্রতি এই রিপোর্ট খারিজ করেছে ডিসিজিআই।