ওয়াশিংটন: ফের বন্দুকবাজের হামলা আমেরিকায়। এবার গুলি চলল টেনেসির নাইটক্লাবের সামনে। রবিবার রাতে জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আহতদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। এর আগে শনিবার ফিলাডেলফিয়াতেও বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা চলে। ওই ঘটনাতেও তিনজন মারা যান এবং গুরুতর আহত হন ১১ জন। একের পর এক বন্দুকবাজের হামলায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে টেনেসি শহরের একটি নাইটক্লাবের কাছে গুলি চলে। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন। চাট্টানুগা পুলিশ প্রধান সেলেস্ট মার্ফি জানান, বন্দুকবাজের গুলিতে কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ওই বন্দুকবাজের গুলিতে দুইজন ও গাড়ির ধাক্কাতে একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা সঙ্কটজনক।
জানা গিয়েছে, টেনেসির ম্যাককেলি অ্যাভিনিউর কাছে অবস্থিত একটি নাইটক্লাবে রাত ২ টো ৪২ মিনিট নাগাদ আচমকাই বন্দুকবাজ হামলা চালায় এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিদের উপরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই উপস্থিত এক ব্যক্তি পুলিশে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্য়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক শ্যুটার গুলি চালিয়েছিল। তবে কী কারণে হামলা চালানো হয়েছিল বা ঘটনার পিছনে কাদের হাত রয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানা যায়নি। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমেরিকায় যে একের পর এক গুলি চালানোর ঘটনা ঘটছে, তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করা হচ্ছে পুলিশ বিভাগের তরফে।
দেশজুড়ে বন্দুকবাজের হামলার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি কঠোর অস্ত্র আইনের পক্ষে সওয়াল তুলেছেন।