টেক্সাস: এ যেন খেলার জিনিস! আর খেলার ছলেই শেষ হয়ে গেল এক খুদের জীবন। এক গুলিতেই খেলতে খেলতে অন্ধকার নেমে এল ৪ বছরের দিদির চোখে। আর দোষী তারই ৩ বছরের বোন। তবে না বুঝেই বন্দুক থেকে গুলি চলে বোনের। তাতেই দুর্ভাগ্যবশত বোনের হাতেই মৃত্যু হল দিদির। রবিবার রাতে টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতে এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নর্থ হাউসটন রোডের কাছে ব্যামেলের একটি অ্য়াপার্টমেন্টে তখন পার্টি চলছে। সেই মুহূর্তে ওই অ্য়াপার্টমেন্টে উপস্থিত ছিলেন মোট ৫ জন। এমনিতে ছোটো বড় সব মিলিয়ে এই অ্য়াপার্টমেন্টের মোট বাসিন্দা সংখ্যা চার। তবে রবিবার রাতে আত্মীয় ও বন্ধুরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এই ঘটনার মুহূর্তে অ্য়াপার্টমেন্টের বাইরের ঘরে মোট ৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক উপস্থিত ছিলেন। আর ভিতরের ঘরে খেলছিল দুই শিশু।
বাইরের ঘরে মা-বাবা যখন গল্প, হাসি-ঠাট্টায় মগ্ন তখন খেলায় মজেছে দুই শিশু মন। সেই সময় ভিতরের ঘরে একটি গুলি ভর্তি বন্দুক উদ্ধার করে ৩ বছরের শিশু। আর কৌতূহলবশত ট্রিগারও টিপে দেয় সে। আর গুলি গিয়ে লাগে তার থেকে ১ বছরের বড় দিদির গায়ে। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই শিশুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরের ভিতরে গুলির শব্দ শুনে ছুটে যান পরিবারের বাকি সদস্যরা। দেখেন, রক্তারক্তি কাণ্ড। বড় মেয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তারা বন্দুকটিকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ৯১১ এ ফোন করেন। খবর পেয়েই অ্য়াপার্টমেন্টে আসেন তদন্তকারীরা। যেহেতু ভুলবশত শিশুর হাত দিয়ে গুলি চলেছে তাই এই ক্ষেত্রে কোনও মামলা দায়ের হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনায় খেলার ছলে এক সন্তানের প্রাণ যাওয়ায় শোকাহত পরিবার। এখন তাঁদের একটাই আফসোস গুলি ভর্তি বন্দুকটি যদি আরেকটু সাবধানে রাখা যেত!