
গাজা: একটা পার্লে-জির প্যাকেট। দাম মাত্র ৫ টাকা। কিন্তু এই ৫ টাকার বিস্কুটের প্যাকেটই গাজায় বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়! হ্যাঁ, ঠিকই ৫ টাকার একটা বিস্কুট বিক্রি হচ্ছে কয়েক হাজার গুণ বেশি দামে। ইদের সকালে গাজা স্ট্রিপের প্রার্থনা হল না মসজিদে, কারণ সেখানে মসজিদ বলে কিছুর অস্তিত্বই নেই। ইজরায়েলের মিসাইলের আঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে সবকিছু।
তবে এর এর থেকেও ভয়ঙ্কর চিত্র হল খাদ্য সঙ্কটের। যেখানে বখরি ইদে কুরবানি হচ্ছে, খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে, প্রিয়জনদের উপহার দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই গাজায় দুমুঠো খাবার জোগাড়ের জন্যও হাজার হাজার মানুষকে লড়াই করতে হচ্ছে।
পরিবারে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিলে অনেকে সোনাদানা বিক্রি করতে বাধ্য হন। কিন্তু গাজায় দুমুঠো অন্ন জোগানোর জন্য সোনাও কম পড়ছে। ত্রাণ সকলে পাচ্ছে না। গাজার বাজারে কোনও খাবার কেনার উপায় নেই, কারণ সবকিছুরই দাম আকাশছোঁয়া।
ইজরায়েলি মুদ্রা শেকেল। ১ শেকেল ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ টাকার সমান।
ইজরায়েলের দাবি, হামাস ত্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। গাজায় ত্রাণের ট্রাক ঢুকলেও তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না।