হ্যানয়: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে। সেখানকার একটি বহুতলে আগুন লাগার জেরে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিন জন শিশুও রয়েছে। এ ছাড়াও এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গত ২০ বছরে এটিই ভিয়েতনামের সবথেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে। বহুতলে আগুন করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে ছোটরা লাফ মারছে, ক্ষতিগ্রস্তদের কান্না-চিৎকারেরও সাক্ষী থেকেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ভিয়েতনামের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হ্যানয়ের ওই বহুতলের পার্কিম লটে প্রথম আগুন লাগে। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাকি তলে। আগুন লাগার সময় পার্কিং লটে ভর্তি ছিল বাইকে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বহুতলে ঠিক মতো বেরনোর রাস্তা ছিল না। এর জেরে আগুন লাগা সত্ত্বেও অনেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। বহুলতলের মধ্যে থেকে আগুনের গোলা বেরিয়ে আসাও প্রত্যক্ষ করেছেন এএফপি-র চিত্রগ্রাহকরা। হোয়া নামের সেখানকার এক বাসিন্দা কোনও মতে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এএফপি-র এক সাংবাদিককে বলেছেন, “আমি অনেকের আর্তনাদ শুনেছি। কিন্তু পরিস্থিতি এমন ছিল তাঁদের সাহায্য করতে পারিনি।” এই বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
হ্যানয়ের ওই বহুতলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না বলে জানা গিয়েছে। এমনকি জরুরিকালীন প্রস্থানের ব্যবস্থাতেও প্রচুরি গাফিলতি ছিল। সে জন্য ওই বহুতলের মালিককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই বহুতলে প্রায় ১৫০ জন বাসিন্দা থাকেন। প্রাণ বাঁচাতে অনেকে বহুতলের উপর থেকে ঝাঁপ মেরেছেন। অনেকে বাচ্চাদের প্রাণ বাঁচাতে তাদের ছুড়ে নীচে ফেলেছেন। বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। এবং আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই বহুতলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গিয়েছে।