
ঢাকা: সোমের সন্ধ্য়ায় বৈঠক। শুক্রবার নতুন দলের নাম ঘোষণা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন নতুন সমীকরণ। এই সমীকরণ জামাত, আওয়ামী কিংবা বিএনপির নয়। এই সমীকরণ যুব প্রজন্মের। এই সমীকরণ নতুনদের।
পালাবদলের পর কেটে গিয়েছে ছয় মাস। বাংলাদেশে কি কোনও বদল এসেছে? যে ইউনূস সরকারকে হাতে করে এনে বসিয়েছিল আন্দোলনকারীরা, সেই ইউনূসের প্রশাসনে বাংলাদেশে কি হয়েছে কোনও বদল? কেউ কেউ বলছেন, বদল হয়েছে। তবে এই বদল যেন বড়ই নৃশংস।
বিগত কয়েক মাসে পদ্মার বুক হয়ে বয়ে গিয়েছে কত জল। এই পদ্মা দেখেছে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের নির্মাণ। এই পদ্মা সাক্ষী থেকেছে বঙ্গবন্ধুর উত্থান ও মৃত্যুর। সেই পদ্মাই আবার সাক্ষী থাকল হাসিনার নিষ্ক্রম । সেই পদ্মাই এবার সাক্ষী থাকছে নৈরাজ্যের বাংলাদেশের। সেই পদ্মার ধারের দেশেই এবার নতুন রাজনীতির সমীকরণ।
কারা কষছে সেই অঙ্ক?
কষছে হাসিনার পতনের মূল মাথারা। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব এবার নামতে চলেছে বাংলাদেশের কাদা-মাটির রাজনীতিতে। জুলাই আন্দোলনের সময় দেশের সংস্কারের উদ্দেশ্য়ে নিয়ে ময়দানে নেমেছিল তারা। সেই আন্দোলনই যে সময়ের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হয়ে গিয়েছে তা আপাতত স্পষ্ট।
সাম্প্রতিককালেই নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, সরকারি পদ ছেড়ে তারা এবার নতুন দল নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নামবে। সম্ভবত, চলতি বছরেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। আর তার আগে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি সেরে নিতে চলেছে ছাত্ররা।
জানা গিয়েছে, আগামী শুক্রবার নতুন দলটির সূচনা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে মিলেই গঠন করা হচ্ছে এই দল। তবে নাম কী হবে, মাথায় কারা থাকবে, কোন দায়িত্ব কার কাঁধে যাবে সেই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য় সংগঠক সারজিস আলম জানান, ‘নতুন বাংলাদেশ, যার স্বপ্ন মানুষ দেখেছে। সেই স্বপ্নকে সামনে রেখেই এবার ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজনৈতিক দল গঠন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।’