আফগানিস্তানের মানুষের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন: PM Narendra Modi
PM Narendra Modi in G-20 Summit: যে খাদ্যাভাব এবং অপুষ্টির মুখোমুখি হওয়া আফগান জনগণের বেদনা অনুভব করছে ভারত। এবং আফগানিস্তানের মানবিক সহায়তার তাৎক্ষণিক ও বাধাহীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন মোদী।
বিশ্ব: আফগান ভূমি যেন সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হতে না পারে।আফগানিস্তানের রূপরেখা সঠিক ভাবে গঠনের জন্যও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকে উদ্যোগী হওয়া উচিত বলে মনে করছেন নমো। এভাবেই জি-২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে অন্যান্য দেশকে আহ্বান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে বসবাসকারী মানুষের জন্য মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিতে আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি মোদী আহ্বান জানান যাতে আফগান ভূখণ্ড উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের উৎস হয়ে না ওঠে। এবং সে দেশে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকে বলে মনে করেন তিনি। তাছাড়া আফগান নাগরিকদের জরুরি এবং বাধাহীন মানবিক সহায়তা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসনের আহ্বান জানান তিনি।
আফগানিস্তানে একটি গঠনমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তার উপরেও জোর দেন নরেন্দ্র মোদী জানান, “আফগানিস্তান প্রসঙ্গ নিয়ে জি -২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলাম। সে দেশ যাতে সন্ত্রাসবাদের ডেরায় পরিণত না হয়, তার জন্য সওয়াল করেছি।”
উল্লেখ্য, গত ৩০ অগস্ট ভারতের বিশ্ব সংস্থার সভাপতিত্বে গৃহীত ইউএমএসসি প্রস্তাবে আফগানিস্তানে মানবাধিকার বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়। তারা দাবি করে, আফগান ভূখণ্ডকে সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয় এবং এই সঙ্কটের জন্য আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মীমাংসা খুঁজে বের করা উচিত।
দেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জি-২০ বৈঠকে উল্লেখ করেছেন যে খাদ্যাভাব এবং অপুষ্টির মুখোমুখি হওয়া আফগান জনগণের বেদনা অনুভব করছে ভারত। এবং আফগানিস্তানের মানবিক সহায়তার তাৎক্ষণিক ও বাধাহীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি।
এদিকে আফগানিস্তানে এখন তালিবানের থেকে বেশি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আইসিস খোরাসান। তালিবানের থেকে বেশি কট্টরপন্থায় বিশ্বাস করে এই আইসিস খোরাসান। সম্প্রতি একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে আফগানিস্তান। বিস্ফোরণ হয়েছে মসজিদেও। আর আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও।
আরও পড়ুন: Amit Shah: মানবাধিকার রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করেছে মোদী সরকার
জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার সময়, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং সেদেশের নিরাপত্তা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করার বিষয় নিয়েও কির্গিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। “আমরা আফগানিস্তানের যাবতীয় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। সেদেশের বর্তমান অবস্থা আমাদের সকলের জন্যই চিন্তার কারণ। আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া যেকোনও ধরণের অস্থিরতা এই অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বিরাজমান তালিবান (Taliban) শাসকদের থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে প্রত্যাশা রয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ আগেই দেওয়া হয়েছে।”