ওয়াশিংটন: দিন কয়েক আগেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে লক্ষ্য করে চলেছিল গুলি। কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে সেই গুলি। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ট্রাম্পের সভার সামনে হাজির বন্দুকবাজ। রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনের সামনে থেকে আটক করা হল এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে। ধৃতের কাছে এক-৪৭ বন্দুক ছিল বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এক কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর। তাঁর কাছে দুটি ছুরি ছিল।
ওহাইয়োর উইসকনসিনে চলছিল রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশন। সেখানেই এক গৃহহীন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে দুই হাতে দুটি ছুরি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। নিরাপত্তার কথা ভেবেই গুলি চালায় পুলিশ। মৃত্যু হয় ওই কৃষ্ণাঙ্গের। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম স্যামুয়েল সার্প (৪৩)। এক ব্যক্তির দিকে ছুরি নিয়ে তেড়ে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। এরপরই পুলিশ গুলি চালায়।
অন্যদিকে, মিলউকিতে রিপাবলিকান কনভেনশন চলছিল। সেখান থেকেই এক বন্দুকবাজকে আটক করা হয়। স্কি মাস্ক পরে এসেছিল সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি। তাঁর ব্যাকপ্যাকে একে-৪৭ পিস্তল এবং গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিল বলে মার্কিন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ক্যাপিটল পুলিশেরই প্রথমে নজরে আসে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি। তাঁর স্কি মাস্ক ও পিঠের বিশাল ব্যাকপ্যাক দেখেই সন্দেহ জাগে। রাস্তায় ইতি-উতি ঘুরে বেড়াচ্ছিল অভিযুক্ত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বক্তব্যে অসঙ্গতি মিলতেই তল্লাশি চালানো হয়। এরপরই ব্যাগ থেকে একে-৪৭ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই, শনিবার পেনসিলভেনিয়ায় ২০ বছরের এক যুবক প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একটি গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে স্টেজ থেকে নামিয়ে আনা হয়। ম্যাথু ক্রুকস নামক ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে।
হামলার পরও প্রচার থামাননি ট্রাম্প। সোমবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন।