কলকাতা: এখনও অতীত হয়নি করোনা (Coronavirus)। তবে টিকার ‘রক্ষাকবচ’ ভেদ করে আর বাড়াবাড়ি করতে পারেনি। তবে উদ্বেগের মেঘ যে পুরোপুরি কেটে গিয়েছে এমনটা নয়। এখনও বহু জায়গাতেই করোনার কবলে পড়ছেন অনেকে। তবে মোটের উপর করোনা ভয় যে কমেছে তা মানুষের দৈনন্দিন গতিবিধিতেই স্পষ্ট। কিন্তু, করোনা কাঁটা খানিক দূরে সরতে না সরতেই এবার নতুন এক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কবলে পড়া প্রতি দ্বিতীয় ব্যক্তিই মারা যাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যাচ্ছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে বাড়ছে Crimean-Congo haemorrhagic fever (CCHF)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, এই জ্বরে মৃত্যুর হার প্রায় ৪০ শতাংশের আশপাশে। এর চিকিৎসাও বেশ কঠিন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এই ধরনের জ্বরের প্রকোপ আরও বেশি মাত্রায় বাড়ছে। সাম্প্রতিককালে, প্রথম এই জ্বরে আক্রন্তদের খোঁজ মেলে পূর্ব ইউরোপে। ফ্রান্সেও বর্তমানে বহু মানুষ এই জ্বরের কবলে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এখনই এই জ্বরকে নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে, শীঘ্রই তা মহামারির আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটা মূলত টিক বাহিত রোগ। টিক আসলে এক ধরনের পরজীবী কীট। যারা স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, কখনও কখনও সরীসৃপ এবং উভচরদের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক টিকগুলির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ থেকে ৫ মিলিমিটারের আশপাশে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম বাড়লে এদের প্রাদুর্ভাব অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বর্তমানে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। তাতেই এই ধরনের কীটপতঙ্গের প্রাদুর্ভাবও অনেকটাই বাড়ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।