
ইসলামাবাদ: ১৯৭১-এর পর প্রথমবার পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে অভিযান চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক জঙ্গি-ঘাঁটি। কেউ কেউ বলছেন, এই অভিযানে পাকিস্তানের একেবারে হৃদয়ে আঘাত করা হয়েছে। আর পাকিস্তান যে পাল্টা অভিযান চালাবে, তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কীভাবে?
খুব বেশি কিছু করতে পারবে না পাকিস্তান, এমনটাই মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার গোবিন্দ সিসোদিয়া। কারণ, তাঁর মতে পাকিস্তানের সেই আর্থিক, সামরিক শক্তি নেই যে তারা ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেবে।
নাম কা ওয়াস্তে হামলা?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তান ভারতের উপর হামলা চালাতেই পারে, তবে তা হবে নিছকই প্রতীকী। অর্থাৎ না করলেই নয়! কারণ পাকিস্তানের না আছে, আর্থিক ক্ষমতা, না আছে কূটনৈতিক ক্ষমতা।
জোগাড় করতে পারে সমবেদনা
হিসেব কষে কষে জঙ্গিদের মারা হয়েছে। পাকিস্তানের কোনও সাধারণ মানুষের গায়ে আঁচ লাগেনি। নিশানা ছিল একেবারে নিখুঁত। অথচ তারপরও পাকিস্তান কাঁদুনে গাইতে ছাড়ছে না। তাদের দাবি, ভারত নিয়ম ভেঙে তাদের অনেক ক্ষতি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সব যুক্তি দিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের প্রতি সমবেদনা জোগাড় করতে পারে।
এমনিতেই পাকিস্তান কোনঠাসা। তাই তাদের পক্ষে অন্যান্য দেশ তথা রাষ্ট্রনেতাদের টানতে উদ্যোগী হতে পারে পাকিস্তান।
হতে পারে একই কায়দায় হামলা!
প্রথমে ড্রোন দিয়ে নিখুঁতভাবে নিশানা ঠিক করা হয়েছে। তারপর যুদ্ধবিমান আর মিসাইলে পুরো অপারেশন করে ভারত। প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানও কি তবে মিসাইল তাক করে একইভাবে ভারতকে নিশানা করবে পাকিস্তান? তাদের মূল লক্ষ্য় কী হবে, তা স্পষ্ট নয়।
হতে পারে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ
ভারতের অপারেশন সিঁদুর-এর পর পাকিস্তান বলেছে ‘অ্যাক্ট অব ওয়ার’। তবে পুরোপুরি যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার কথা বলছেন অনেকেই। কিন্তু ভারত জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তান যদি কোনও পদক্ষেপ করে, ভারতের পদক্ষেপ হবে আরও কড়া। ঝাঁঝ হবে আরও বেশি। তাই যুদ্ধের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
পাক জঙ্গিদের জাগানো হতে পারে
ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের কোমরটা ভেঙে দিয়েছে ভারত। তবে যে দেশের মাটিতে সন্ত্রাসের চাষ হয়, সেই দেশে কি জঙ্গির অভাব? রয়েছে অনেক স্লিপার সেল। সেই সেলগুলি জাগিয়ে আবারও পহেলগাঁও বা মুম্বই হামলার ধাঁচে কোনও হামলা চালানো হবে না তো!