ইসলামাবাদ: ভারতের বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি অশান্ত করতে জঙ্গিদের ভারতে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেয় পাকিস্তান। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই বলে থাকেন, ভারতে জঙ্গিবাদ রফতানি করে পাকিস্তান। এর পাশাপাশি চিনে বড় সংখ্যায় গাধা রফতানি করে পাকিস্তান। এ বার পাকিস্তানের রফতানি তালিকায় যোগ হল ভিখারি। পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাকিস্তান নাকি ভিখারি সরবরাহ করছে। সম্প্রতি এ রকমই অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সৌদি আরব ও ইরাক পাকিস্তানকে এই কাজ বন্ধ করতেও আবেদন জানিয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা এখন জীর্ণ। গলা অবধি ঋণে ডুবে রয়েছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ। সেখানে খাদ্যশস্য এবং জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশে গরিবি আরও বেড়েছে। তাই পাকিস্তান থেকে অনেকেই পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। সেখানে গিয়ে যারা কোনও কাজ পাচ্ছেন না, তাঁদের দিন কাটছে ভিক্ষাবৃত্তি করেই। জানা গিয়েছে, পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভিখারির মধ্য অধিকাংশই নাকি পাকিস্তানি। বিদেশে বসবাসীকারী পাকিস্তানিরা সম্প্রতি এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি এক তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, সৌদি আরব ও ইরাকের জেলে বন্দি ভিখারিদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি। তবে শুধু ভিক্ষাই নয়। পাকিস্তান থেকে পশ্চিম এশিয়ার ওই সব দেশে গিয়ে পকেটমারি, চুরি-ছিনাতাইয়ের কাজও করছেন পাকিস্তানিরা। মক্কায় যত পকেটমারকে গ্রেফতার করেছে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের মধ্যে সিংহভাগ পাকিস্তানি। পাকিস্তানি ভিখারিতে তাদের জেলগুলি ভরে গিয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব ও ইরাকের প্রশাসন। ইসলামিক দেশ থেকেই এই ভর্ৎসনা নিশ্চিতভাবে মুখ পোড়াচ্ছে পাকিস্তানের।