সিলেট: দীর্ঘদিন থেকেই রিসর্টে অসামাজিক কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার প্রতিবাদ করলেও অচেনা যুবক-যুবতীদের আনাগোনা কমেনি। উল্টে দিনে দিনে তা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভও। আর সেই ক্ষোভ থেকেই অদ্ভুত কাণ্ড করে ফেললেন বাংলাদেশের উত্তর পূর্বের সিলেটের লোকজন। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারে রয়েছে ওই রিসর্ট। কয়েকদিন আগে সেখানেই এসেছিলেন ১৬ যুগল। তাঁরা প্রত্যেকেই পড়ুয়া বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রিসর্টে ঢুকে অসামাজিক কাজ করছিলেন এই যুবক-যুবতীরা। সে কারণেই তাঁদের পাকড়াও করা হয়। এদের মধ্যে আবার ৮ জনের বিয়েও দিয়ে দেন এলাকার বাসিন্দারা।
খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলাদেশে। কেউ কেউ ‘মাতব্বর’ প্রশংসা করলেও কেউ কেউ নীতি পুলিশি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কেন ওই যুবক-যুবতীদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। গত সপ্তাহের শেষে ঘটনার কথা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় প্রশাসনের অন্দরেও। ৮ যুবক-যুবতীর বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫ নং সিলাম ইউনিয়নের কাজী।
একইসঙ্গে এই বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। পুলিশের গাফিলতি নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে। তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনও পক্ষ থেকেই থানায় কোনও মামলা রুজু হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। শুধু যুবক-যুবতীদের আটকে জোরপূর্ব বিয়ে দেওয়াই নয় রিসর্টেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। রিসর্টের মালিক বলছেন, আসলে পুরোটাই তোলাবাজির ঘটনা। কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই তোলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তা না দেওয়াতেই শেষ পর্যন্ত ২০০৪ সালে তৈরি এই রিসর্টে হামলা চালানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চলছে চাপানউতোর।