ঢাকা: তিনি বর্তমানে আমেরিকার ডিএনআই বা গোয়েন্দা দফতরের প্রধান। নিজের জীবনের অনেকটা সময়ই কাটিয়েছেন সেদেশের সেনায়। ট্রাম্পের শাসনকালে পেয়েছেন নতুন দায়িত্ব। নাম তুলসী গাবার্ড। নাম শুনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মনে হলেও, তিনি কিন্তু ভারতীয় নন। বরং আদ্যপান্ত একজন মার্কিন নাগরিক। তবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আর এবার সেই মার্কিন হিন্দু গোয়েন্দাপ্রধানের মুখে উঠে এল বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা।
ভারতে সফরে এসেছেন এই মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান। সোমবার দেখা করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে। এমনকি, সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দেশের এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকেও। আর সেখানেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তুলসী।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? তুলসীর কথায়, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলা নিপীড়ন। বিশেষ করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের উপর চলা অত্যাচার নিয়ে বড়ই উদ্বিগ্ন ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকা গোটা বিশ্ব থেকে ইসলামিক সন্ত্রাস দূর করতে উদ্যত্ত।’
উল্লেখ্য, পদ্মা পাড়ের দেশ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের এমন মন্তব্য ক্ষিপ্ত ইউনূস সরকার। তুলসীর সাক্ষাৎকারের পরেই একটি বিবৃতি জারি করে তাঁরা। তুলসীর করা অভিযোগগুলিকে ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে আঘাত ও বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করে ইউনূস প্রশাসন।
এমনকি, সেই বিবৃতিতে বাংলাদেশের তদারকি সরকারের দাবি, ‘এটা ঠিকই বিগত কয়েক বছর ধরে নানা ভাবে চরমপন্থীদের আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, সেই চরমপন্থী সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়তেও আমরা উদ্যত্ত হয়ে। আমেরিকার থেকে সাহায্য নিয়েছি। বাংলাদেশকে নিয়ে এমন মন্তব্য অন্যায় ও অতিরঞ্জিত।’