
ঢাকা: দীপু দাসের কায়দায় বাংলাদেশে আবারও নিধন। ঘটনা রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার। সেখানে পিটিয়ে খুন করা হল অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট নামে এক যুবককে। বুধবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু কেন গণপিটুনি? নেপথ্য়ে কি ফের দানা বাঁধল মৌলবাদ?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়ম সময় টিভি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাটের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশের অনুমান, সেই ক্ষোভ থেকেই হামলা চালানো হয়েছে সম্রাটের উপর। বুধবার রাতেও তিনি নাকি তাঁর দলবল নিয়ে তোলবাজিতেই বেরিয়ে ছিলেন। সেই সময় বাঁধে বিবাদ, যা পরিণত হয় ভয়াবহ সংঘর্ষে। পালিয়ে যায় সম্রাটের দলবল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বুধবার রাতে ওই গ্রামেরই একটি বাড়িতে টাকা তুলতে যান সম্রাট। কিন্তু তা দিতে রাজি হয় না সংশ্লিষ্ট পরিবার। এরপর চিৎকারই শুরু করে ওই বাড়ির লোকজন। জড়ো হয়ে যায় প্রতিবেশীরা। সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সম্রাটের অন্য সহযোগীরা। তারপরই গণপিটুনি। এদিন ডেইলি স্টারকে পাংশা এলাকার এক পুলিশকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, ‘আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলাম।’ এরপরই সম্রাটকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসকরা সম্রাটকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়।
ইতিমধ্য়ে সম্রাটের এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পাংশা থানা। তাঁর নাম মহম্মদ সেলিম। তার থেকে দু’টি দেশীয় বন্দুক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা, এমনটাই খবর। ডেইলি স্টার-কে পুলিশ আরও জানিয়েছে, সম্রাটের বিরুদ্ধে নাকি থানায় দু’টি অভিযোগ দায়ের ছিল। যার মধ্যে একটি আবার খুনের অভিযোগ। সেই সূত্র ধরেই বুধবার আইন হাতে তুলে নেন অভিযুক্তরা। গণপিটুনি, তারপর হত্যা।