
জাকার্তা: তথ্য প্রযুক্তির বিপুল উন্নতিতে আধুনিক যুগে বাস করছে মানুষ। তাঁর চালচলন, বেশভূষার প্রভূত পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এখনও এমন কিছু প্রজাতির মানুষ আছেন, উন্নতির আলো এখনও তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি। আদিম রীতিতেই এখনও অভ্যস্ত সেই সব জনগোষ্ঠী। তাঁদের মধ্যে এমন অনেক জনগোষ্ঠী রয়েছে যাঁরা স্বভাবে নরখাদক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই রয়েছে এ রকম জনগোষ্ঠী। ইন্দোনেশিয়ার জলাভূমি এসলাকায় বাস ওই জনগোষ্ঠীর। নাম আসমত। সেই জনগোষ্ঠীর লোকেরা উৎসব এবং আচার হিসাবে মানুষের মাংস খেয়ে থাকেন। এই প্রথার মাধ্যমে নিজেদের শৌর্য জাহির করেন ওই জনগোষ্ঠী পুরুষরা।
নরখাদক ওই জনগোষ্ঠীর লোকেরা নিজেদের শত্রুদের খুন করেন। খুন করে তাঁদের মাংস খান। মূলত মানুষের মাথা কেটে ছাল ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। তার পর তা রোস্ট করে খান ওই আসমত জনগোষ্ঠীর লোকেরা। গায়ের মাংসও খাওয়া হয়। পাশাপাশি মানুষের চোয়াল এবং মেরুদন্ডও ফেলে দেন না তাঁরা। মানব দেহের ওই অঙ্গ ব্যবহার করে গয়না বানানো হয়। সেই গয়না পরেন জনগোষ্ঠীর পুরুষরা। শৌর্য দেখাতেই মানুষের দেহাংশ দিয়ে তৈরি গয়না পরার চল রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ওই জনগোষ্ঠীর মধ্যে। পাশাপাশি মানুষের খুলি দু’ভাগ করে বাটির মতো ব্যবহার করার চলও রয়েছে তাঁদের মধ্য়ে।
আসমত জনগোষ্ঠীর লোকেরা প্রবল ধর্মভীরু হয়ে থাকেন বলে মনে করা হয়। তাঁদের বিশ্বাস করা ধর্মের বিভিন্ন রীতিনীতি গভীর ভাবে পালন করে থাকেন তাঁরা। আসমত গোষ্ঠীর লোকেরা মনে করেন মানুষকে গাছের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। তাঁরা মনে করেন মানুষের মাথা গাছের ফলের মতো। শত্রুদের মেরে তাঁদের মাংস খাওয়ার মধ্যে নিজেদের বীরত্ব জাহির করেন তাঁরা।
ইন্দোনেশিয়ার নিউ গিনিয়া দ্বীপে রয়েছে বিস্তীর্ণ নিম্ন জলাভূমি এলাকা। সেই জলাভূমিতে প্রায় ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাস এই আসমত জনগোষ্ঠীর লোকেদের। ওই জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৫ হাজার লোক এখনও বসবাস করেন বলে জানা গিয়েছে।