লন্ডন: ফেব্রয়ারি মাসের ২৪ তারিখ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরু হয়েছে। দুই দেশের শীর্ষস্তর একাধিকবার আলোচনার টেবিলে বসলেও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ এখনও নেই। রাশিয়া ক্রমাগত ইউক্রেনে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের নেপথ্য কারিগর হিসেবে গোটা বিশ্ব যাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে, তিনি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। মূলত পশ্চিমীদেশ গুলির মতে পুতিনের আগ্রাসী নীতি ও ক্ষমতার দম্ভের কারণে এই যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের আবহে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যখন অনেকেই ‘ভিলেন’ বানিয়েই ফেলেছে, তখন তাঁকে নিয়ে সামনে এল এক আশ্চর্য ভবিষ্যদ্বাণী। আর যিনি এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, অতীতের রেকর্ড বলছে, তাঁর বলা কথা কখনও ভুল বলে প্রমাণিত হয়নি। এমনকী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যে অনিবার্য সেকথা যুদ্ধ শুরুর বহুদিন আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন।
বাবা ভাঙা (Baba Vanga) নামে দৃষ্টিশক্তিহীন ওই বৃদ্ধা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী দিনে ‘বিশ্বের ভগবান’ হিসেবে উঠে আসবেন। এর আগেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং পরিণাম নিয়ে তাঁর করা ভবিষ্যদ্বাণী হুবহু মিলে গিয়েছে। ১৯৭৯ সালে লেখক ভ্যালেন্টিন সিডোরভের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ‘সকলেই বরফের মতে গলে যাবে। শুধু ভ্লাদিমিরের গৌরব ও রাশিয়ার গৌরব অক্ষুণ্ন থাকবে। রাশিয়াকে কেউ আটকাতে পারবে না। পুতিনের রাস্তা থেকে সবাই সরে যাবে এবং সে পৃথিবীর ভগবান হিসেবে উঠে আসবে।’
নব্বইয়ের দশকে ৮৫ বছর বয়সে বাবা ভাঙা মারা গেলেও তাঁর করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণী কখনও মিথ্যা হয়নি। আমেরিকার ৯/১১ নিয়েও তাঁর গণনা মিলে গিয়েছিল। মৃত্যুর আগে রাশিয়ার উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন বাবা। এমনকী রাশিয়ার উন্নতির পথে আমেরিকা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও যে কোনও লাভ হবে না সেকথাও জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, “বিভীষিকা, বিভীষিকা! ইস্পাত পাখির দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আমেরিকা পড়ে যাবে। নেকড়েরা ঝোপের মধ্যে চিৎকার করবে, আর নির্দোষদের রক্ত ঝরবে” প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও থামার কোনও লক্ষণ নেই। দুই দেশের মধ্যে আলোচনাতেও কোনও লাভ হয়নি। বিশ্বের তাবড় দেশগুলি শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেও কোনও লাভ হয়নি। আগামী দিনে বাবার ভবিষ্যদ্বাণী মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার।