TCS, Infosys-র কর্মীদের জন্য বিরাট দুঃসংবাদ, একটা সিদ্ধান্তেই হাজার হাজার চাকরি সঙ্কটে
US H-1B Visa Rules: দক্ষ কর্মীদের আউটসোর্সিং করে আমেরিকা। তবে এবার সেই বিদেশি কর্মীদের আমেরিকায় কাজ করার সুযোগ দেওয়ার বদলে মোটা অঙ্কের ফি দিতে বলা হয়েছে। এতে প্রভাব পড়বে ভারতীয় ও মাল্টি ন্যাশনাল বিভিন্ন আইটি কোম্পানির উপরে, যারা মিডলম্যান হিসাবে কাজ করত।

নয়া দিল্লি: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এইচ-১বি ভিসার নিয়মে বড় ধাক্কা। এইচ-১বি ভিসায় (H-1B Visa) আমেরিকায় অন্য দেশ থেকে কর্মী কাজ করতে গেলেই, তাদের ফি বাবদ দিতে হবে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আলোড়ন। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (TCS), ইনফোসিসের (Infosys) মতো আইটি কোম্পানিগুলিকে এই ধাক্কা সবথেকে বেশি সইতে হবে।
দক্ষ কর্মীদের আউটসোর্সিং করে আমেরিকা। তবে এবার সেই বিদেশি কর্মীদের আমেরিকায় কাজ করার সুযোগ দেওয়ার বদলে মোটা অঙ্কের ফি দিতে বলা হয়েছে। এতে প্রভাব পড়বে ভারতীয় ও মাল্টি ন্যাশনাল বিভিন্ন আইটি কোম্পানির উপরে, যারা মিডলম্যান হিসাবে কাজ করত। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস লিমিটেড, ইনফোসিস লিমিটেড ও কগনিজেন্ট সলিউশন কর্পের মতো সংস্থাগুলি এতে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হবে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্টে উঠে এসেছে, এই তিন সংস্থা ২০২০ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত ৯০ শতাংশ কর্মী এইচ-১বি ভিসায় নিয়োগ করেছে এবং মার্কিন কনস্যুলেটও সিলমোহর দিয়েছে। যদি ট্রাম্পের এই ফি কার্যকর হয়, তাহলে কয়েকশো মিলিয়ন ডলার খরচ হত।
ইনফোসিসের ৯৩ শতাংশ নতুন কর্মী, যারা এইচ-১বি ভিসায় কাজ করছেন, তাদের কয়েক বিলিয়ন ডলার ভিসা ফি দিতে হত। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের ৬৫০০ কর্মী অর্থাৎ ৮২ শতাংশ কর্মীকে ফি দিতে হত। যদি ভিসার এই ফি চালু হয়, তাহলে এইচ-১বি ভিসার আবেদনের সংখ্যা অনেক কমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যারা চাকরি করছেন, তাদের কোনও সমস্যা না হলেও, নতুন করে আমেরিকায় চাকরি পাওয়ার পথ অনেকটাই বন্ধ বা সংকুচিত হয়ে যাবে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
