India Pakistan Tension: খান খান পাকিস্তান, বিশ্বকে খোলা চিঠি বালুচিস্তানের

India Pakistan Tension: শান্তি ফিরিয়ে আনতে ভারত যা করছে তা একদম সঠিক। গোটা বিশ্বের উচিত 'অপারেশন সিঁদুর'-এ ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়া। এটাই ওই নিরাপরাধ বিধবাদের জন্য সঠিক বিচার।

India Pakistan Tension: খান খান পাকিস্তান, বিশ্বকে খোলা চিঠি বালুচিস্তানের

May 10, 2025 | 2:24 AM

পাকিস্তানের ‘গর্ভপাত’ হল বলে। মানে বালুচিস্তান জন্ম নিল বলে। শুক্রবারই বালুচিস্তানে পাকিস্তানের পতাকা টেনে নামিয়ে দিয়েছে বালোচ বিদ্রোহীরা। উড়িয়ে দিয়েছে ‘স্বাধীন’ বালুচিস্তানের পতাকা। ভারতে বালুচিস্তান দূতাবাস খুলতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল। বলেছিল পাকিস্তানের হিন্দুদের রক্ষা করবে বালোচ লিবারেশন আর্মি। এবার সরাসরি বিশ্বকে খোলা চিঠি বালোচ বিদ্রোহীদের। কী বলল তাঁরা?

মির ইয়ার বালোচ-এর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গোটা বিশ্ববাসীকে সম্বোধন করে একটি দীর্ঘ পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে লেখে, “পাকিস্তান একটি কৃত্রিম সত্তা। ইতিহাসে এর কোন জাতিগত, সাংস্কৃতিক, এবং সভ্যতার শিকড় নেই। ব্রিটিশরা সংযুক্ত ভারতকে বিভক্ত করার জন্য বাফার রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান তৈরি করে। ফলে ৭৭ বছর ধরে সংঘাত, অস্থিরতা, লক্ষ লক্ষ জিহাদির সৃষ্টি, সন্ত্রাসী অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। জিহাদ শব্দ এখান থেকের সৃষ্টি হয়েছে।”

আরও লিখেছে, “ধর্মীয় বিদ্বেষকে ব্যবহার করে আফগানিস্তানের নিরপেক্ষতা নষ্ট করেছে এবং মৌলবাদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। পাক সেনা, পাক সরকার এবং পঞ্জাবি মুসলিমরা ভারতের ক্ষতি করতে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করতে ভারতীয় মুসলিমদের ক্রমাগত প্ররোচনা দিয়েছে।”

ওই পোস্টে বলে, “বালোচদের ইতিহাস অস্বীকার করা অন্যায়। আমারা ১০ হাজার বছরের পুরনো মেহরগড় সভ্যতার অংশ। ব্রিটিশ, ভারত, আফগানিস্তান এবং গালফ দেশগুলির সঙ্গে বহু পুরনো কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তান অন্যায় ভাবে বালুচিস্তান দখল করে।”

বালোচদের দাবি, “পাকিস্তানের এই আগ্রাসনের প্রথম বলি আমরা বালোচরা। সন্ত্রাসবাদের দ্বিতীয় বলি বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে ওই সময় ২ লক্ষ বাঙালি মহিলাকে ধর্ষণ করে পঞ্জাবি মুসলিম পাক সেনা, হত্যা করে ৩০ লক্ষ বাংলাদেশী নাগরিককে। শেষে ৯৩ হাজার সেনাকে আত্মসমর্পণ করতে হয়।

বালোচদের কথায়, “পাকিস্তান এখানেই থামেনি। পঞ্জাবি মুসলিম সেনা সন্ত্রাসবাদকে ক্রমাগত লালন পালন করতে থাকে। রাওয়ালপিন্ডিতে আইএসআই এবং পাকিস্তানি জেনারেলদের সাহায্যে জিহাদি তৈরি করতে থাকে। ৫ লক্ষ আফগানকে হত্যা করেছে।”

ভারতের আক্রমণকে সমর্থন জানালো বালোচরা। বলল, “পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অনেক সন্ত্রাসী শাখা খুলেছে এবং ভারতের সংসদ, হোটেল, যাত্রীবাহী বিমান, পহেলগাঁওয়ের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে হামলা চালিয়ে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। ভারত অত্যন্ত সভ্য এবং শান্তিপ্রিয় দেশ। পহেলগাঁওয়ে ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ভারত কেবল জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে সুচারু হামলা চালিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছে। আজ গোটা বিশ্বের উচিত ভারতের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো। ভারতের এই সিদ্ধান্তে ১৪০ কোটি মানুষ এবং লোকসভা ও রাজ্যসভার যৌথ সমর্থন রয়েছে।”

শান্তি ফিরিয়ে আনতে ভারত যা করছে তা একদম সঠিক। গোটা বিশ্বের উচিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়া। এটাই ওই নিরাপরাধ বিধবাদের জন্য সঠিক বিচার।

ভারত একা নয়। বালোচ, পশতুন, সিন্ধু এবং কাশ্মীরের মানুষ, যাঁরা ৭ দশকের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের আগ্রাসনের স্বীকার, তাঁরা সকলে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে এই এয়ার স্ট্রাইক এবং ড্রোন হামলাকে সমর্থন করে।

কেবল সেনা বা সরকার পরিবর্তন হলেই পাকিস্তানের বুক থেকে জঙ্গি সমস্যার উৎখাত হবে না। বরং ম্যাপ বদলে দিতে হবে। বালুচিস্তানের স্বাধীনতা তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক বন্ধনের কারণে সিন্ধু প্রদেশকে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হতে বা ভারতের সঙ্গে যোগদানের জন্য অনুরোধ করব। পশতুন জাতিগোষ্ঠীর অধ্যুষিত পশতুনস্তানের অবশিষ্ট অংশ আফগানিস্তানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কারণ আফগানিস্তানের সংস্কৃতি, ভাষা, পোশাক এবং ভূমি একই। পাকিস্তানের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে মুক্ত করতে হবে।

ইরানের অর্থায়নে পরিচালিত হামাস, হিজবুল্লাহ, হাউথি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিরা ইজরায়েলে হাজার হাজার রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তান তার জিহাদি সংগঠনগুলিকে রক্ষা করে ভারতের বেসামরিক জনগোষ্ঠীর উপর ৫০০ টিরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এটি একটি যুদ্ধের ঘটনা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদের উৎপত্তিস্থল এবং কেন্দ্রস্থল ধ্বংস করার এবং প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।