
কলকাতা: শত্রুকে চুরমার করে দিয়ে এসেছে ভারত। পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে এ দেশ। প্রায় ১০০ জন জঙ্গিকে খতম করে ভারত দেখিয়েছে তাদের ক্ষমতা। এ দিকে, পাকিস্তানের এই জঙ্গিঘাঁটিতে হামলার ঘটনা জানার পর থেকেই কি ভয়ে কুঁকড়ে পড়ছে ভারতের আর এক পড়শি বাংলাদেশ? তাদের হাবভাব অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।
জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপের পর,বাংলাদেশের ইউনূস সরকার তার নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ভারত সংলগ্ন সীমান্তে মোতায়েন রাখা পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের (আইজিপি) বাহারুল আলম এই সতর্কতা জারি করেছেন।
বুধবার ঢাকার গুলশানে পুলিশের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেইখানে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি বাহারুল আলম। সেখান থেকেই বাংলাদেশি এই পুলিশকর্তা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে আরও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্য়ে এই প্রভাব যাতে কোনও ভাবেই বাংলাদেশের উপর না পড়ে সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। বস্তুত, বাংলাদেশের তিরিশটি জেলার সীমান্ত ভারত লাগোয়া। তিনটি জেলার সীমান্ত মায়ানমারের সঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সামরিক পদক্ষেপ বা কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব সরাসরি বাংলাদেশের সীমান্তে দেখা যেতে পারে। সেই কারণে আরও সতর্ক ইউনূস প্রশাসন।
উল্লেখ্য়, পহেলগাঁওয়ে ছাব্বিশজন নীরিহ পর্যটককে ধর্ম জেনে বেছে বেছে খুন করেছিল পাক-অধিকৃত জঙ্গিরা। এরই প্রতিশোধ নিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার গভীররাতে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়েছে সেনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, একাংশ বাংলাদেশিরা ক্রমাগত ভারত-বিদ্বেষী মন্তব্য করছেন। শুধু তাই নয়, ভারত সংক্রান্ত ভুয়ো খবর রাটাচ্ছে। একটু বেশিই পাক-প্রীতি দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে। তবে বাংলাদেশ যতই ‘ইতিহাস’ ভুলে পাকিস্তানি প্রতি প্রেম দেখাক না কেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ যে তাদেরও ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।