
ঢাকা: জন্মাষ্টমীর দিনে ধর্মনিরপেক্ষতায় জোর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের। দেশের ভিত্তিতেই যে ধর্মনিরপেক্ষতা সেই কথাটাই মনে করালেন তিনি। তাও আবার কোন সময়, যখন বাংলাদেশের বুকে ধর্মের ভিত্তিতে অত্য়াচার চরমে।
সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার ঢাকায় আয়োজিত একটি জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “এই দেশ এখানকার প্রতিটি নাগরিকের। ধর্ম, সম্প্রদায় এবং জাতির উপর ভিত্তি করে বিভাজন চলবে না। এই দেশে আপনারা ভীতিহীন ভাবেই বসবাস করুন। আপনাদের পাশে আমরা রয়েছি।” শুধুই সেনাপ্রধান নয়, এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অন্যান্য বাহিনীর প্রধান ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।
এদিন তিনি আরও বলেন, “হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি এবং বাঙালি, আমরা চিরকাল শান্তিতেই বসবাস করে আসছি। সেটাই করব। সব সময় আপনাদের রক্ষা করাই আমাদের কাজ।” জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা শোনা গিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ইউনূসের মুখেও।
তবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এত ঘনঘন বলা হলেও, বাস্তবের পরিস্থিতিটা যে একেবারেই ভিন্ন তা প্রকাশিত হয়েছে নানা রিপোর্টেই। বরাবরই বাংলাদেশে হিন্দু নিধন, হিন্দু মন্দির ধ্বংসের মতো ঘটনাকে ‘অতিরঞ্জিত প্রচার’ বলে দাবি করেছে ইউনূস সরকার। তবে সেই নিয়ে দাবিকে নস্যাৎ করে যেমন একদিকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। একই ভাবে এই নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়কেও। সম্প্রতিই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তারা জানিয়েছিল, হাসিনার সরকারের পতনের পর হিন্দুদের উপর ২০০টিরও বেশি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এবার সেই অরাজকতাকে রুখতে ও ভাবমূর্তি শোধরাতেই যেন বার্তা সেনাপ্রধানের।