
ঢাকা: ফের প্রকাশ্যে ইউনূস সরকার ও সেনাপ্রধানের মধ্যেকার ফাটল। রাখাইন নিয়ে যেন সেনার মনে চাপা ক্ষোভ ফুটে বেরচ্ছে যে কোনও ভাবে। সেদেশের পরিস্থিতি দেখে তো এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পদ্মা পাড়ের পরতে পরতে যখন জমা হচ্ছে ক্ষোভ। এবার সেই আবহে আরও বড় পদক্ষেপ সেনাপ্রধানের।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাত ইসলামিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। গত শনিবার রাতে সেনাপ্রধানের বাসভবনে আয়োজন হয়েছিল বৈঠক। অংশ নিয়েছিলেন জামাতের প্রধান তথা আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মহম্মদ তাহের।
কিন্তু হঠাৎ করেই কেন দেশের ‘পাকিস্তান প্রেমী’ দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হল সেনাপ্রধানকে? এই প্রসঙ্গে ওয়াকার-উজ-জামান মুখ না খুললেও, সোমবার জামাত প্রধান জানিয়েছেন, ‘এই বৈঠক আসলে সৌজন্য সাক্ষাৎ।’ এরপরেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে প্রশ্ন তুললে জামাত প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা চলেছে। তবে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা হয়নি।’
তবে কি ইউনূসের পদত্যাগ ও দেশে নির্বাচন নিয়ে তৈরি হওয়া অস্থিরতা নিয়ে কথা বলতেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিল জামাতরা? এই প্রশ্নের জবাবে কার্যত মুখে কুলুপ আঁটেন মহম্মদ তাহের। উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানেন, ‘যতটুকু বলেছি, এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না।’
বলে রাখা ভাল, পাকিস্তানকে মদত জোগানো, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করা-সহ একাধিক অভিযোগে কয়েক দশক পর্যন্ত পড়শি দেশে নিষিদ্ধ ছিল জামাতে ইসলামি। হাসিনার সময়কালেও ‘রাজনৈতিক অধিকার’ হারিয়েছিল তারা। তবে ইউনূস আসতেই বাঁধন ছাড়া হয়েছে জামাতরা। সম্প্রতি, নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতার মাঝে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিল তারা। দাবি তুলেছিল নির্বাচনের রোডম্যাপেরও। এবার সেই আবহেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক সেরে নিল জামাতরা।